দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সেক্রেটারি কৃষ্ণগোপাল ধারা জানান, “দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আধুনিক পদ্ধতি না থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হত বহু মানুষকে। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ UPI পেমেন্ট করতে অভ্যস্ত। তাই মন্দির চত্বরে UPI পেমেন্ট করার জন্য বেশকিছু QR Code বসানো হয়েছে। মন্দিরের জুতো রাখার জায়গা, ভোগের কুপন নেওয়ার জায়গা, প্রণামী বাক্সের সামনেও লাগানো হয়েছে এই কোড গুলি। এছাড়া মন্দিরের সামনের ট্রাস্টের দোকান ও মন্দিরের পাশে থাকা আনন্দময়ী ধর্মশালাতেও বসানো হয়েছে এই কোড। আগামীতে ট্রাস্টের আওতায় থাকা অন্যান্য মন্দিরেও বসানো হবে এই ধরনের কোড।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে টাকা সরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। ফলে আলাদা করে টাকা গুণে ব্যাঙ্কে ডিপোজিট করার সমস্যা থাকছে একেবারে সামান্য। ভবিষ্যতে সেটা প্রায় থাকবেই না।” মন্দিরের এক দর্শনার্থী হিমাংশু ঘোষ জানান, আগেও অনেকবার তিনি এই মন্দিরে এসেছিলেন। তবে আগে এই সুবিধা ছিল না মন্দিরের মধ্যে। বর্তমানে UPI পেমেন্টের সুবিধা করার কারণে বহু মানুষের অনেকটা সুবিধা হবে। খুচরো টাকা নিয়ে অনেক সময়েই বিপাকে পড়তে হয়। সবসময় খুচরো থাকেও না। তখন এই সুযোগ থাকলে ভালই হয়।”
আরও পড়ুন : পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে রঙিন ঝাড়গ্রাম ! বদলে যাচ্ছে চেহারা
কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের উদ্যোগেই সম্ভব হয়েছে এই QR কোডের ব্যবস্থা। এতে বেশ অনেকটাই খুশি জেলার মানুষদের পাশাপশি দূর-দুরন্তের দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দরা। বর্তমান সময়ের আধুনিকীকরণের ছোঁয়া বেশ অনেকটাই প্রয়োজন ছিল এই মন্দিরে। তাই দেবোত্তর ট্রাস্টের এই বিশেষ উদ্যোগের অনেকটাই প্রশংসা করছেন সকলে। আগামীতে আরও অন্যান্য মন্দিরেও এই ব্যবস্থা করা হোক, এমনটাই আশা সকলের।