২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোচবিহার এবং কলকাতার মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু হয়৷ ৯ আসন বিশিষ্ট একটি ছোট বিমান চালাত বেসরকারি বিমান সংস্থা৷
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের উড়ান প্রকল্পের অধীনে এই বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছিল৷ এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ওই বেসরকারি বিমান সংস্থার৷ যার ফলে পরিষেবা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের থেকে ভর্তুকি পেত ওই সংস্থা৷
advertisement
কিন্তু আগামী জানুয়ারি মাসে সেই চুক্তিই শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ ফলে কেন্দ্রের থেকে আর ভর্তুকি পাবে না ওই সংস্থা৷ ভর্তুকি ছাড়া এই পরিষেবা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই ওই সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে৷
কোচবিহার এবং কলকাতার মধ্যে যাতায়াতে বিমান ভাড়া পড়ত কমবেশি পাঁচ হাজার টাকা৷ সময় লাগত দু ঘণ্টার কিছু বেশি৷ ফলে কোচবিহারের বাসিন্দারা যথেষ্টই উপকৃত হতেন৷ সেই পরিষেবাই এবার বন্ধের মুখে৷ স্বভাবতই বিমান বন্ধ হওয়া নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে৷
২০২৩ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কোচবিহারের সেই সময়ের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল এই বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছিল৷ গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে জয়ী হয় তৃণমূল৷ কোচবিহারের দাপুটে নেতা উদয়ন গুহ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন৷ ফলে বিমান পরিষেবা বন্ধের দায় তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের নিতে হবে বলে দাবি নিশীথের৷
অন্যদিকে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়ের দাবি, এতদিন বিমান চালুর কৃতিত্ব নিতেন বিজেপি নেতারা৷ ফলে পরিষেবা বন্ধের দায়ও বিজেপি নেতাদেরই নিতে হবে৷
