TRENDING:

Coochbehar Firing: অসুস্থ বালককে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন CISF জওয়ানরা, তার থেকেই ধুন্ধুমার শীতলকুচিতে?

Last Updated:

জেলা প্রশাসনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সকাল ৯.৪৫ পর্যন্ত শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে নির্বিঘ্নেই চলছিল ভোটগ্রহণ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বুথের কাছে অসুস্থ বালককে দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন বুথে কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানরা৷ আর তাকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির জেরেই কোচবিহারে ঘটে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেল চারজনের৷ শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া রিপোর্টে এমনই দাবি করল কোচবিহার জেলা প্রশাসন৷ একই সঙ্গে অবশ্য জেলা প্রশাসনের রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে, গ্রামবাসীরাই ঘরে থাকা বিভিন্ন ধারালো সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আক্রমণ করেছিলেন৷ ফলে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতেই গুলি চালাতে বাধ্য হন সিআিএসএফ জওয়ানরা৷
advertisement

জেলা প্রশাসনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সকাল ৯.৪৫ পর্যন্ত শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে নির্বিঘ্নেই চলছিল ভোটগ্রহণ৷ সেই সময় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছে মানিক মহম্মদ নামে একটি বালক অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ সেই সময় স্থানীয় দু' তিন জন মহিলা কিশোরের শুশ্রুষা করছিলেন৷ তা দেখেই ওই বুথে কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানরা সাহায্য করতে এগিয়ে যান৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছে রাখা সেক্টর মোবাইল ভ্যানে করে ওই বালককে হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তাবও দেন তাঁরা৷

advertisement

অভিযোগ, তখনই স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ভেবে নেন, সিআইএসএফ জওয়ানরাই ওই বালককে মারধর করায় সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচী জুড়ে দেন তাঁরা৷ জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এর ফলে ৩০০ থেকে ৫০০ জন এলাকাবাসী ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়ে যায়৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু মহিলার হাতে বাড়িতে থাকা ধারালো সরঞ্জামও ছিল, যা দিয়ে গুরুতর আঘাত করা সম্ভব৷ অভিযোগ, সিআইএসএফ জওয়ানদের ঘিরে ধরে তাঁদের উপর হামলা চালাতে উদ্যত হন গ্রামবাসীরা৷ কয়েকজন সিআইএসএফ জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ৷ ভোট কর্মীদের উপরও চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা৷ এর ফল প্রাথমিক ভাবে কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান এবং বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হোমগার্ডও আহত হন৷

advertisement

এই পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে আরও বাহিনী চেয়ে সাহায্য চান সিআইএসএফ জওয়ানরা৷ কাছেই থাকা ক্যুইক রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়৷ এর পরেই জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালান সিআইএসএফ জওয়ানরা৷ কিন্তু তাতেও উন্মত্ত জনতা পিছু না হঠায় আত্মরক্ষায় এবং ইভিএম সহ সরকারি সরঞ্জাম বাঁচাতে ভিড় লক্ষ্য করেই গুলি চালান সিআইএসএফ জওয়ানরা৷ এপ পরেই ছত্রভঙ্গ হয় জনতা৷

advertisement

জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি সাত জন আহত হয়েছেন৷ সিআইএসএফ এর রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছিল, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে বাহিনী৷

কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত চার জনের নাম ছালমু মিয়াঁ (২৩), জোবেদ আলি (২০), আমজাদ হোসেন (২৮) এবং নামিদ মিয়াঁ (২০)৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

ইতিমধ্যেই কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোচবিহারে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা৷ মাথাভাঙা কাণ্ডের জেরে এই নির্দেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন৷ অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Coochbehar Firing: অসুস্থ বালককে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন CISF জওয়ানরা, তার থেকেই ধুন্ধুমার শীতলকুচিতে?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল