দুর্গাপুজোর দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের সময় জলপাইগুড়ির মাল নদীতে আশা আচমকা বানে মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। সোমবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর শুরু করছেন জলপাইগুড়ি দিয়ে। জলপাইগুড়িতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করারও কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে কলকাতায় এয়ারপোর্ট থেকে বিশেষ বিমানে হাসিমারা এয়ারফোর্টস স্টেশনে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে জলপাইগুড়ির বড়দিঘি হাই স্কুল হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিন রাতে থাকবেন জলপাইগুড়ির মালবাজারেই।
advertisement
আরও পড়ুন: মেসেজ আসে 'মানিক যা তা ভাবে টাকা তুলছে', চাকরি বিক্রির 'ভাগ' নিয়ে রাগ হয়েছিল পার্থর: ইডি
পরের দিন অর্থাৎ ১৮ তারিখ মালবাজার আদর্শ বিদ্যালয় স্কুলে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন এবং মালবাজারে হড়পা বানের নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মালবাজারের এই দুর্ঘটনার পরে মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল রাজ্য। কেন্দ্রের তরফেও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই দিন বানের মধ্যেই যাঁরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে উদ্ধার করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল ওই দিন উত্তরবঙ্গে কোন অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়নি। সম্ভবত রাজ্যের বাইরে মাল নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় বৃষ্টি হয়েছিল। মেঘ ফাটার কারণে এই জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল কিনা তাও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ফলে এই জলোচ্ছ্বাসের কোন আগাম খবর পাওয়া সম্ভব ছিল না। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছিল দুর্ভাগ্যবশত কোন বিশেষ অভিসন্ধি নিয়ে কিছু শ্রেণীর মানুষ একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির যেভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে তা নিন্দনীয়। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর মালবাজার দিয়ে শুরু হওয়ায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
মুখ্যমন্ত্রী সফরসূচি অনুযায়ী ওই বৈঠকের পর ওই দিনই হেলিকপ্টারে করে মালবাজার থেকে রওনা দিবেন শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। শিলিগুড়ির দেবগ্রাম হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছে উত্তর কন্যার কন্যাশ্রী গেস্ট হাউসেই ১৮ তারিখ রাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।। ১৯ তারিখ কাওয়াখালী মাঠে বিজয়া সম্মেলনে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিজয়া সম্মেলনীতে রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনে উত্তরবঙ্গের শিল্প মহলের প্রতিনিধিদের ও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ২০ তারিখ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।