TRENDING:

কী পরিস্থিতিতে তাঁদের গুলি চালাতে হলো?‌ প্রকৃত ঘটনা কী?‌ তা জানতে তদন্ত করবে CISF

Last Updated:

চাপ বাড়তে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের। তাই এবার শীতলকুচি কাণ্ডের পৃথক তদন্ত করতে আগ্রহী সি আই এস এফ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: শীতলকুচি নিয়ে এবার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সি আই এস এফ। বর্তমান নির্বাচনী আবহে এই ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নিশানায় এই কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী সি আই এস এফের গুলিতেই চলে গিয়েছে শীতলকুচির চারটি তাজা প্রাণ। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়তে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের। তাই এবার শীতলকুচি কাণ্ডের পৃথক তদন্ত করতে আগ্রহী সি আই এস এফ।
advertisement

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলাকালীন শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী সি আই এস এফ৷ ওই বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সি আই এস এফ জওয়ানরাই৷ কী পরিস্থিতিতে তাঁদের গুলি চালাতে হলো?‌ প্রকৃত ঘটনা কী?‌ তা জানতে তদন্ত করবে সি আই এস এফ বলে ঠিক হয়েছে৷ তবে এটা একেবারেই তাদের অন্তঃ তদন্ত। এই তদন্ত রিপোর্ট তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাতে পারে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন সি আই এস এফকে তদন্ত করানোর বিষয় নিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রেই খবর, এই ইস্যুতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৃথক তদন্ত করার৷ সূত্রের খবর, তদন্তের জন্য দিল্লি থেকে রাজ্যে আসছেন সি আই এস এফ–এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও৷ তবে কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনাস্থলে আধিকারিকরা যাবেন কিনা সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷ ওই দিন ১২৬ নম্বর বুথে বাহিনীর যে জওয়ানরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সি আই এস এফ কর্তারা৷এর আগেই শীতলকুচির ঘটনার পরই নির্বাচন কমিশনকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সি আই এস এফ৷ সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্রও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে৷ কিন্তু এই বিষয়ে কোনও ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে পারেনি সি আই এস এফ।

advertisement

এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়তে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন থেকে সি আই এস এফ আধিকারিকদের।ইতিমধ্যেই সি আই এস এফের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী একটা রিপোর্ট দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। সেই রিপোর্টেও উল্লেখ হয়েছে, আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় জওয়ানরা। কিন্তু সি আই এস এফের মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের যাদের বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রশিক্ষণ থাকে, তারা লাঠিচার্জ বা কাঁদানে গ্যাস বা শূন্যে কেন গুলি চালানো না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। এমনকি কারা গুলি চালিয়েছেন সেই তথ্য তার কাছে আছে বলে চাপ বাড়িয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অন্তঃতদন্তে কি উঠে আসে তার দিকে চেয়ে সকলে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

 ABIR GHOSHAL

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
কী পরিস্থিতিতে তাঁদের গুলি চালাতে হলো?‌ প্রকৃত ঘটনা কী?‌ তা জানতে তদন্ত করবে CISF
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল