তবে, এবার পিছিয়ে রইলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ আগামী ৯ মার্চ ফের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনের দিন স্থির হয়েছে ৷ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করবেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ৷ সেই অনুষ্ঠানে সম্ভবত হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ উদ্বোধনের পর আগামী ১১ মার্চ থেকে কাজ শুরু হবে সার্কিট বেঞ্চের ৷
advertisement
শুক্রবার সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের পরই কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বামেদের একযোগে আক্রমণ করেন মোদি ৷ পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সার্কিট বেঞ্চ আমাদেরই করা।....বর নেই কনে নেই , ব্যান্ডপার্টি নিয়ে হাজির , মিথ্যে কথা বলছেন.... মোদি পাগল.... ৷ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্র ৷’’
জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ নিয়ে উদ্যোগী হন। স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেন। প্রায় সমস্ত রকম সম্মতিও আদায় করেন। কিন্তু, মোদি মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র এতদিন মেলেনি ৷ রাজ্য সরকারের অভিযোগ, প্রায় চার মাস ধরে তারা ঝুলিয়ে রেখেছিল ৷ হঠাৎ, বুধবার, জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চকে সবুজ সংকেত দিয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা ৷ মেলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনও ৷
এবার বাংলা থেকে ২৩ টি লোকসভা আসনে জেতার স্বপ্ন দেখছেন অমিত শাহ। তাঁদের বিশেষ নজর, সীমান্ত লাগোয়া উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু আসন। শুক্রবার, জলপাইগুড়ির সভা থেকে সেই উত্তরবঙ্গের মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদি। যে চা বাগান ইস্যু রাজ্য রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাকেই হাতিয়ার করার চেষ্টা করলেন মোদি। বার্তা দিলেন চা-শ্রমিকদের পাশে থাকার ৷ এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ৷
