আজ থেকেই ম্যালে কার্যত পা ফেলার জায়গা নেই। চকবাজার থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তা সেজে উঠেছে রঙিন আলোয়। ম্যালের পাশেই গির্জাও রঙিন। আর তাই সেল্ফি আর গ্রুফি তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। গায়ে গরম জামা চড়িয়ে পর্যটকেরা মজেছে ফেস্টিভ মুডে। গ্লিনারিজেও বিশেষ প্রি ক্রিসমাস নিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানেও দার্জিলিং চায়ের কাপে তুফান ছড়িয়ে জমজমাট আড্ডায় মেতে পর্যটকেরা। দার্জিলিংয়ে হোটেল পাওয়া কার্যত মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'বিজেপি-তৃণমূলের সেট-আপ রাজনীতি', যুব কংগ্রেসের কর্মসূচিতে কটাক্ষ আবদুল মান্নানের
কোভিডের হাতছানি। তাই আর ঘরে বসে নয়, বাঙালি পর্যটকদের এখন ডেস্টিনেশন বলতেই পাহাড়ের রানি দার্জিলিং। আকাশ মেঘলা থাকায় শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন হয়নি, কিছুটা মুড অফ পর্যটকদের। কাল যদি শায়িত বুদ্ধ দর্শন হয়, তাহলে ট্রিপ পুরো হিট। কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক মৌ ঘোষ বলেন, এই প্রথম বড়দিনে পাহাড়ে থাকছি। দারুণ আবহ।
আরও পড়ুন: বন্ধুর জন্মদিন থেকে ফেরার পথে মৃত্যু! বেহালা দেখল মেদিনীপুরের তরুণীর মর্মান্তিক পরিণতি
অন্যদিকে, আর এক পাহাড়ি শহর কালিম্পংও পুরো ক্রিসমাস মুডে। সর্বত্র গিজ গিজ করছে পর্যটক! ডম্বরচকে পা ফেলা দায়। গোটা শহর সেজেছে রঙ বেরঙ আলোয়। ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তার টুপি কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বিকেলেই দেখা মিলল দুই খুদে সান্তাক্লজের। কাল সকাল থেকে আবার ভিড় উপচে পড়বে পাহাড়ের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনগুলিতে। একেই তাপমাত্রা আজ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে! সন্ধের পর তা আরও নামবে। কনকনে ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করেই বছর শেষের ফেস্টিভাল নিয়ে মজেছে পাহাড়। রঙিন আলোয় সেজে উঠেছে চার্চগুলিও। পাহাড়ে বেড়াতে আসা আর এক পর্যটক ঐত্রেয়ী রায় জানান, এর আগে এমন ফেস্টিভ মুডের ছবি দেখিনি। তাই তো বছর শেষে পাহাড়ে আসা।