বৃহস্পতিবার মালদহের গাজোলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি গণবিবাহের আসরের আয়োজন করেছে মালদহ জেলা পুলিশ। রাজ্য সরকারের রুপশ্রী প্রকল্পের সহায়তায় বিবাহ যোগ্যা মেয়েদের বিয়ে দেবার সময় টাকা পয়সা যাতে সমস্যা না হয় তা দেখা হয়। ফলে গোটা রাজ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন ১৮ বছর পেরোনো মেয়েরা। সেই রুপশ্রী প্রকল্পের অধীনে মালদায় পাওয়া মেয়েদের এবার বিয়ে দেবারই আয়োজন করল মালদহ পুলিশ। মালদহে এখন রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই বিয়ে দেবেন।
advertisement
কিছুদিন আগেই আদিবাসীদের গণবিবাহের আসরে ব্যাপক গোলমাল হয় পুলিশের সামনে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে সেই গণবিবাহের আসরের আয়োজন করা হয়েছিল। মালদহ ও আলিপুরদুয়ারে এই কান্ড ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম বদল করার অভিযোগ উঠেছিল। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিজেপির আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরকমই আবহে আগামিকাল গণবিবাহের আসরের মুল আয়োজক থাকছে মালদহ পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই মালদহের রাস্তায় এই গণবিবাহের আসর নিয়ে নানা রকম ভাবে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় একাধিক গেট তৈরি করা হয়েছে। মালদহের আদিবাসী অধ্যুষিত চারটি ব্লক গাজোল, হাবিবপুর, বামনগোলা, এবং ওল্ড মালদা আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লক বলে জেলায় পরিচিত।
এই সমস্ত ব্লকের পাশাপাশি রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুর থেকেও আদিবাসী পরিবারের বিবাহযোগ্য ছেলে মেয়েদের বাছাই করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমুল নেতাদের বক্তব্য, এটা জেলার অন্যতম মেগা ইভেন্ট হতে চলেছে। এর ফলে একদিকে যেমন রুপশ্রী প্রকল্পের প্রচার চালানো হয়ে যাবে। তেমনি আদিবাসীদের সাথে পুলিশের একটা জনসংযোগ হয়ে যাচ্ছে। যা জেলার জন্য ভীষণ দরকারী বলে মনে করছে প্রশাসন।বিয়ের আসরে মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের হাতে তুলে দেবেন রুপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকার চেক। তারই সাথে দেওয়া হবে বিয়ের জন্য নানা উপহার। থাকবে সংসার পাতার নানা উপকরণ। হবে গান বাজনার অনুষ্ঠান। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশের ভুমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলছেন।
Abir Ghosal