উনিশের লড়াই গণতন্ত্র রক্ষার। মাথাভাঙার সভা থেকেও আরও একবার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, বিজেপি আরও একবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে বিপন্ন হবে দেশ। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়বেন ১৩০ কোটি দেশবাসী।
এদিন বিজেপির উদ্দেশ্যে মমতার তোপ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আসছে ৷ আপনার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে ৷ এরা থাকলে ভোটাধিকার থাকবে না ৷ ফের ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলে দেবে ৷ এটাই বিজেপির জঘন্য ষড়যন্ত্র ৷ ’
advertisement
শুধু বিজেপি নয়, মোদিকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘মোদির ৩টি গুণ, লুঠ, দাঙ্গা মানুষ খুন ৷ ১৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে দিয়েছে? ধাপ্পা দিয়ে ভোট নিয়েছে ৷ এখন আবার চৌকিদার সেজেছেন ৷ চা-ওয়ালা সেজে সব টাকা খেয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রীর কথায় সৌজন্য নেই ৷ মোদিবাবুর এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গিয়েছে ৷ বিজেপি ১২১ আসন পেলে তাদের ভাগ্য ৷ দেশবাসীকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে ৷ বিজেপি ক্ষমতায় এলে সর্বনাশ ৷ ব্যাঙ্কে রাখা টাকা ফেরত পাবেন না ৷’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, এনআরসিকে হাতিয়ার করে বিপজ্জনক পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। অসমে এনআরসিতে দুই সম্প্রদায়ই সমান ভুক্তভোগী। তা মনে করিয়েই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলনেত্রীর। মমতা বলেন, বাংলায় এনআরসি করতে দেব না ৷ এনআরসিতে ২২ লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ ৷ ২৩ লক্ষ বাঙালি মুসলিমের নাম বাদ ৷ গো-রক্ষার নামে মানুষ খুন করছে ৷ খুনের রাজনীতি করছে বিজেপি ৷ মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরির চেষ্টা ৷
স্বাধীনতার দীর্ঘ সাত দশক পর ছিটমহল সমস্যার সমাধানের পথ খুলেছে। কিন্তু ছিটমহলের উন্নয়নে কেন্দ্র আর্থিক প্যাকেজ দেয়নি বলেই অভিযোগ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গোসাঁইহাটে দাঁড়িয়ে ছিটমহল নিয়েও বার্তা এল।
ভোটের আগে কোচবিহারে রাজবংশীদের সমর্থন পেতে ঝাঁপিয়েছে সব রাজনৈতিক দল। আলাদা রাজ্যের দাবি তোলা এক রাজবংশী নেতার পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে গিয়ে শীর্ষ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন ওই নেতা। সেই ঘটনা টেনে তৃণমূলনেত্রীর গেরুয়া শিবিরকে প্রশ্ন বান ৷
একদিকে ছিটমহল ইস্যু,অন্যদিকে এনআরসি, কোচবিহারে নির্বাচনী জনসভায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে দুটি ইস্যুতেই অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের পর এনআরসি নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলাতে যাতে আতঙ্ক তৈরি না হয়, সেই লক্ষ্যেই এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।