গরু পাচার কাণ্ডে ম্যারাথন জেরার পর সাইগাল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গরু পাচার কাণ্ড, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় একাধিকবার সিবিআই তলব করা হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। আর এই ঘটনা নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা রাজ্য রাজনীতি। এর আগে বেশ কয়েকবার অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী সেহেগাল হোসেনকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। তারপর ১লা জুন বুধবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাজারপাড়ায় সাইগাল হোসেনের বাড়িতে সরাসরি হানা দিয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সকাল থেকে প্রায় ১৪ঘণ্টা তল্লাশি ও জেরা করে সিবিআই।
advertisement
পরের দিনেই সিবিআই আধিকারিকদের দল হাজির হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। স্ত্রী জুঁই খন্দেকার ও সেহেগালকে ম্যারাথান জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকেরা। সেহেগাল বেশ কিছু জমি জায়গা কিনেছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সেই সমস্ত তথ্য জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করে আধিকারিকেরা। সেহেগালের ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখেন সিবিআই-এর তদন্তকারী গোয়েন্দা আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির বিষয়ে টানা জেরা চালিয়েছিল সিবিআই।
তারপরেই গরুপাচার কাণ্ডে ম্যারাথন জেরার পর সাইগাল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে সাইগাল সম্পর্কে প্রতিবেশী ইজাজুল আনসারি বলেন, ‘‘এমনিতে সাইগালের সঙ্গে সকলের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের প্রতিবেশী সকলের সঙ্গেই ওর পরিচয় ছিল। বাড়িতে আসলেই সবার সঙ্গে দেখা হলে কথাও বলত। এইরকম কোনো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে জানা নেই।’’
সিপিআইএম নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘দেহরক্ষী হিসেবে সেহেগাল হোসেনের আয়ের সঙ্গে তার সম্পত্তির অসঙ্গতি পাওয়ায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে। সিবিআই সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত দোষীরাও গ্রেফতার হবে।’’
Pranab Kumar Banerjee