#শিলিগুড়ি: এন আর সি এবং সিএএ বিরোধী আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হচ্ছে পাহাড়ে। আজ কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে কার্শিয়ং মোটর স্ট্যাণ্ড থেকে শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেছে বিনয়পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। নেতৃত্বে দলের সভাপতি বিনয় তামাং, জিটিএ'র চেয়ারম্যান অনীত থাপা। কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক পা মিলিয়েছে এই ৩০ কিলোমিটার পদযাত্রায়।
advertisement
বিনয় তামাং জানান, শুধু পাহাড়ে নয়। গোটা দেশেই সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলছে। সাধারণ মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্রের উড়িয়ে দেওয়া চলবে না। আগামীদিনে আন্দোলন আরো তীব্র হবে। এই ইস্যুতে আগামী ১২ জানুয়ারি কালিম্পংয়ে পদযাত্রা হবে। নয়া বিল লাগু হতেই পাহাড়ে প্রথম দিন থেকেই আন্দোলন শুরু করেছে বিনয়পন্থী মোর্চা সহ বিভিন্ন জনজাতির উন্নয়ন বোর্ড। পৃথকভাবে তৃণমূলের পার্বত্য শাখা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সিএএ'র বিরুদ্ধে এবার পাহাড়ে পদযাত্রায় যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আগামী ২২ জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রা হবে। ওইদিন দার্জিলিং স্টেশন থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত পদযাত্রা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। তৃণমূলের ডাকা পদযাত্রায় যোগ দেবে বিনয়পন্থী মোর্চা সহ বিভিন্ন জনজাতির বোর্ড, অরাজনৈতিক সংগঠনও। পাহাড়ে এর আগে একাধীকবার এসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে গোটা দেশেই মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাই এবারে তাঁর এই পদযাত্রার রাজনৈতিক গুরুত্ব আলাদা। কলকাতা, পুরুলিয়া, শিলিগুড়ির পর দার্জিলিং। রাজ্যজুড়েই তৃণমূল নেত্রীর সিএএ বিরোধী আন্দোলন অন্য মাত্রা পাচ্ছে। পাহাড়ের পদযাত্রার আগে দার্জিলিংয়ে পৌঁছবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং গৌতম দেব। মন্ত্রীরা গিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন। এদিন বিনয় তামাং জানান, ২২ জানুয়ারির পদযাত্রায় প্রচুর লোকের জমায়েত হবে। আগামী ২০ জানুয়ারি পাহাড় সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিন শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা করেই পাহাড়ে উঠে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৩ অথবা ২৪ জানুয়ারি নেমে আসবেন শিলিগুড়ি। পাহাড় থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।