অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাতে আমরা নির্বাচনে না যাই, না লড়ি। লোক যাতে ভোট না দেয় পঞ্চায়েতে। ফাঁকা মাঠে জিততে চাইছে। ওটা হবে না। মানুষ তৈরি আছে।’’ পাল্টা শাসক শিবিরের বক্তব্য, ‘‘ওদের কাজ কুৎসা করা। তার পরেও শিক্ষা নিয়ে আমরা পুরষ্কার পেলাম। ওদের জন্য বেল পাকলে কাকের কি? ’’
advertisement
আরও পড়ুন- রাহুর নক্ষত্রে গমন করতে চলেছেন শনিদেব! সংযোগের কারণে এই সব রাশির জীবনে হবে অর্থের সমাগম!
শনিবার দুপুর। কোচবিহারের দিনহাটার বুড়িরহাটে ধুন্ধুমার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে 'হামলা'। বোমাবাজি, গুলি চালানোর অভিযোগ। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এও বলেন, ‘‘আক্রমণ তো আমাদের উপর বহুবার হয়েছে। এটা সারা দেশ দেখছে, এমন একটা রাজ্য যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও সুরক্ষিত নয়। মাননীয় নাড্ডাজিকেও আক্রমণ করা হয়েছিল। সরকার বলে কিছু নেই। প্রশাসন বলে কিছু নেই।’’
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘ওরা যা খুশি বলুক। যা খুশি করুক। ওরা গো-হারা হারবে। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আর ওদের সঙ্গে সিবিআই, ইডি, রাজভবনের উঠোন। এই করে মানুষের শুভেচ্ছা পাওয়া যায় না৷ এই করে মানুষের মন জয় করা যায় না।’’
গত বছরের ডিসেম্বর মাস। বিএসএফের গুলিতে প্রাণ যায় এক রাজবংশী যুবকের বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘেরাও কর্মসূচি করে তৃণমূল। তখন থেকেই কোচবিহারে হাওয়া গরম। বঙ্গ রাজনীতিতেও চলছে কথার লড়াই।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘‘যদি ওরা (তৃণমূল) মনে করে আমাদের নেতা মন্ত্রী এমপি এমএলএ-দের বাড়ি ঘেরাও করবে, তাহলে আমরাও তো পারি। অভিষেক কেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করব আমরা। ওরা যদি মনে করে রাজনীতিটা এইখানে নিয়ে যেতে চায় তাহলে আমরাও রেডি আছি'।