এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ার দায় রতুয়া কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মালদা জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক। যদিও এনিয়ে পাল্টা কোনও মন্তব্য করতে চাননি রতুয়ার বিধায়ক।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০ আসন বিশিষ্ট দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও বিজেপি আটটি করে আসন পায়। বাকি চারটি আসনের মধ্যে কংগ্রেস দুটি এবং সিপিএম ও নির্দল একটি করে আসন দখল করে। কংগ্রেস, সিপিএম এবং নির্দলের সহযোগিতা পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধান হন তৃণমূলের পঙ্কজ মিশ্র। কিন্তু, গতমাসে পঙ্কজবাবুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসেন পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্য। এরপর অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে ১২-৬ ভোটের ব্যবধানে অপসারিত হতে হল তৃণমূলের প্রধান পঙ্কজ মিশ্রকে। ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির লালটু চৌধুরী। অভিযোগ, প্রধান পদে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন তিনজন তৃণমূল কংগ্রেস টিকিটে জেতা সদস্য। ফলে সংখ্যালঘু হলেও পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে নিতে পেরেছে বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আক্রান্ত, দিল্লির যন্তরমন্তরে যা করলেন CPIM নেতৃত্ব...
বিজেপির নবনির্বাচিত প্রধান লালটু চৌধুরীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের অপসারিত প্রধান দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসেন। তার বিরুদ্ধেই নতুন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বও স্বীকার করেছে, এভাবে মালদহে তৃণমূলের হাত থেকে দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করা সম্ভব হবে তা কল্পনাও করেননি তাঁরা।
অন্যদিকে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার পেছনে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেছেন রতুয়া-১ তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজলুল হক। দলবিরোধী কাজে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ ব্লক সভাপতি। এমনকি স্থানীয় বিধায়ক এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।