আগামী ৪ অগস্ট থেকে তিনদিনের এই সভায় নারী মোর্চা সহ সকল কর্মীরা ধর্নায় থাকবে। বিজেপির ম্যানিফেস্টো অনুযায়ী কী কাজ হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করার পাশাপাশি পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে ধর্না হবে। ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এবার অন্য কোনও পথ বেছে নেওয়া হবে। তবে এনডিএ-র সঙ্গে নেই, মন্তব্য বিমলের। এদিন বিমলের সঙ্গে রোশন গিরিও উপস্থিত ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তায় বসে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা! বৃষ্টি বাদলের সকালে MLA হস্টেলের সামনে তুমুল বিক্ষোভ
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের কথায়, প্রতিবার নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে গেলেও আজও পাহাড়বাসীর কাছে গোর্খাল্যান্ড অধরা। যেহেতু দার্জিলিং পাহাড় নেপালের লাগোয়া এবং নেপালের সঙ্গে ভারতের এই দার্জিলিং ভূখণ্ডের কোনও কাঁটা তারের বেড়া নেই। তাই কোনও মানুষ অনায়াসেই এপার ওপার হতে পারে। সেই কারণেই পাহাড়বাসী আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে। তাই আবার গোর্খাল্যান্ডের কথা মনে করিয়ে কেন্দ্র সরকারকে উপর চাপ বাড়াচ্ছেন বিমল গুরুং। তিনি জানান, তাঁদের দাবি গোর্খাল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এই কাজ করছে’, মারাত্মক অভিযোগ বিজেপির
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করবেন, তবে এবারের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন আগের মতো আর হিংসাত্মক হবে না। দিন কয়েক আগেই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দাবি না রাখলে তারা নেপালের কাছে গিয়ে নেপালের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাবেন। উল্লেখ্য, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে একসময় উত্তাল হয়েছিল পাহাড়। অগ্নিকাণ্ড, প্রাণহানির বহু ঘটনা ঘটে। এখন সেই পাহাড় শান্ত। বিমল গুরুংয়ের সেই প্রতিপত্তিতে ভাটা পড়েছে। তারই মধ্যে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুললেন বিমল গুরুং।