সকালেই শরীরে নানাবিধ উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বিমল গুরুংকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। যদিও অনশনের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন মোর্চা প্রধান। শনিবার অনশনের চতুর্থ দিনে শারীরিক ভাবে আরও কাহিল হয়ে পড়েন বিমল। বিকেলের পর থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: আচমকা রান্নাঘরে চড়াও... এলোপাথাড়ি চলল ছুরি! হাড়হিম ঘটনা হরিদেবপুর নেশামুক্তি কেন্দ্রে
advertisement
রাতে ফের চিকিৎসক আসেন অস্থায়ী অনশন মঞ্চে। গুরুংকে পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। রক্তচাপ ওঠানামা করছে। প্রস্রাবে রক্ত আসছে। হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। সোডিয়াম ও পটাশিয়ামও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে।’ তবে গুরুং অনশন মঞ্চ ছাড়তে ছিলেন নারাজ। অনশন ভাঙার প্রশ্নই নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দেন সঙ্গীদের।
শনিবারই গুরুংয়ের অনশন মঞ্চে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। বুলুও গুরুংকে অনশন ভাঙার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁকেও গুরুং জানান, তিনি এই অনুরোধ রাখতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, জিটিএ-র নির্বাচন চাননি বিমল গুরুং। তাই আমরণ অনশনে বসেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি। কিন্তু তৃতীয় দিনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ইতিমধ্যেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচনের। ফলে নির্দিষ্ট দিনে যে নির্বাচন হবে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে গোর্থা জনমুক্তি মোর্চা। সেখানে লেখা হয়েছে, নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আরও একবার ভেবে দেখুন। জিটিএ নিয়ে মোর্চার পক্ষ থেকে নবান্নে যে খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল সে বিষয়টিও ভেবে দেখুন।