উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় দশ শয্যার থেকে বেশি আসন রয়েছে এমন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মত বিনিময় ও আলোচনায় বসে হেলথ রেগুলেটরি কমিশনের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। এদিন কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে কোনওরকম দুর্নীতি বা রোগী হেনস্থার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নেবে কমিশন। এদিন বেশকিছু অভিযোগের ক্ষেত্রে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষগুলিকে সতর্ক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান, সচিব, দুই সদস্য, মালদহের জেলাশাসক সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারাও।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রাজ্য সরকার এই কমিশন গঠন করে। মূলত বেসরকারি নার্সিংহোম গুলিতে পরিষেবা নিয়ে রোগীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সেইজন্যই এই কমিশন গঠন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: লটারি কাটেন? সাবধান হন আজই! যা ঘটনা ঘটছে বাংলায়, সর্বস্ব খুইয়ে ফেলতে পারেন
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তৈরির পর থেকে এপর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কমিশনের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত ১৪৮৫টি অভিযোগ জমা হয়। এরমধ্যে ১৪৮১টি অভিযোগ শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে । ৬৫২ টি অভিযোগের ক্ষেত্রে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় রোগীর পরিবারগুলিকে ছয় কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে ।কমিশন আরও জানিয়েছে, এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি নার্সিংহোমে কমিশন সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত ফ্লেক্স ঝোলানো বাধ্যতামূলক করা হবে। যাতে সহজেই রোগীর পরিবার- পরিজন তাঁদের সমস্যা বা অভিযোগ কমিশনের নজরে আনতে পারেন।