জানা গিয়েছে, ইটাহার কুরমানপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীনে পাঁচটি গ্রাম রয়েছে। সোমবার এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০০ ভ্যাকসিন বরাদ্দ (Bengal News | Corona Vaccine হয়েছিল। কিন্তু এই অঞ্চলের আবাদপুর এলাকায় ৯০ টি স্লিপ বিলি করা হলেও কুরমানপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটিও স্লিপ দেওয়া হয়নি। গ্রামবাসীরা ভ্যাকসিন নিতে ভোর থেকে কুরমানপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা একটিও ভ্যাকসিনের স্লিপ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
advertisement
এরপরেই প্রতিবাদ দেখিয়ে এলাকার মানুষ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। স্বাস্থ্যকর্মি গীতা বিশ্বাস জানান, যে সমস্ত এলাকায় আশা কর্মী আছেন সেই এলাকা গুলোতে গ্রামবাসীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই এই এলাকার আওতায় আনতেই স্বাস্থ্যদপ্তরে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই এলাকার মানুষকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তারা সেটা বুঝতে চাইছে না। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলেন, "প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কেউ যাবেন না।"
স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, এত কিছু বোঝানোর পরও গ্রামবাসীরা বুঝতে না চাওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করে দেন নিজেরা। এমনকি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে গ্রামবাসীদের ভ্যাকসিন নিয়ে আশ্বস্ত করলে দুপুরে তালা খোলা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ অব্যাহত। তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই সকলে চাইছেন টিকাকাকরণ। কিন্তু অপর্যাপ্ত টিকা, বন্টন ব্যবস্থার জটিলতার জন্যে টিকা নিয়ে বিভ্রাট লেগেই আছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, টিকা অপ্রতুল। চাহিদার তুলনায়ই কেন্দ্র কম টিকা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার মোদি সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তম পাল