আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির বিক্ষুব্ধ-বহিষ্কৃত 'নির্দল' প্রার্থীরাই তৃণমূলের কাঁটা? কী বলছে রাজনৈতিক সমীকরণ?
দাদা-ভাইয়ের ভোটের লড়াই এবার অন্যতম মূল আকর্ষণ মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন মেজ ভাই প্রণব ভট্টাচার্য। মালদহ শহরের রাজনীতিতে পরিচিত নাম তিনি। প্রায় পাঁচ দশক ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত। পেশায় অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। বর্তমানে জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক তিনি। শহরে রাজনীতিতে পরিচিত 'বলাইদা' নামে। অতীতেও পুরভোটে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী মেজ ভাইয়ের। ইংরেজবাজারের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এবার প্রতিদ্বন্দিতা চতুর্মুখী। লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস আর বামফ্রন্ট। নিজের ভাই বিজেপি প্রার্থী হওয়ায় কি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ? কংগ্রেস প্রার্থী প্রণব ভট্টাচার্য বলছেন, '' পারিবারিক সম্পর্ক ভোটে প্রভাব ফেলবে না। রাজনীতির লড়াই হবে মতাদর্শের।''
advertisement
ইংরেজবাজার পুরসভার এই ওয়ার্ডে বিজেপির বাজি সেজ ভাই প্রণয় ভট্টাচার্য। পেশায় আয়কর বিষয়ক আইনজীবী। রাজনীতিতে তুলনায় আনকোড়া। সেভাবে সক্রিয় রাজনীতি আগে করেননি। তবে, পেশার সূত্রে বহু মানুষ তাঁর পরিচিত। বিজেপি দল প্রস্তাব দেওয়ায় নিজের ওয়ার্ডে পদ্মফুলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী দাদার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। তবে রাজনীতির লড়াই একেবারেই আলাদা। ব্যক্তিগত আক্রমণে যাবেন না। মানুষ যাঁকে যোগ্য মনে করবেন, তাঁকেই ভোট দেবেন, এমনটাই বলছেন বিজেপি প্রার্থী প্রণয় ভট্টাচার্য।
ইংরেজবাজার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড গত ২২ বছর ধরে নিজের দখলে রেখেছেন বর্তমান তৃণমূল ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর সুব্রত সরদার। কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূলের টিকিটে জেতা সুব্রতবাবু এবারও এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী। গত ২০১৫ পুরসভা ভোটে এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রতবাবু বিজয়ী হন সাড়ে সাতশোরও বেশি ভোটে। কিন্তু, গত বিধানসভা ভোটে এই ওয়ার্ডেই ৬২০ ভোটে লিড পায় বিজেপি। এবার চতুর্মুখী লড়াই-এ কোন ভাই কাকে টপকে যান, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। যদিও ভাই- ভাইয়ের এই লড়াইকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সরদার ও বামফ্রন্ট প্রার্থী মানিক ঘোষ।