মঙ্গলবার সকালে খালিদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদে মন খারাপ অনেকেরই। তার পুরনো স্কুলের বর্তমান কর্তৃপক্ষের মনও ভারাক্রান্ত। স্কুলে স্মরনসভা করা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ রোগভোগের পর, মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
advertisement
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর মঙ্গলবার নিজের শোকবার্তায় মুহম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারাল। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।’ খালেদা জিয়ার প্রয়ানে শোকজ্ঞাপন করেছেন শেখ হাসিনাও।
খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং আবার ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি ছিলেন মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রথম পাকিস্তানের বেনজির ভুট্টো। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি, তার ছেলে তারেক রহমান তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। দলীয় এক বিবৃতি অনুসারে, আজ সকাল ছ’টায় খালেদা জিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে তাকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর এদিন হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
