দলের সভাপতি না ফিরলেও অনুগামীরা নেমে পড়েছেন হারানো জমি পুনরুদ্ধারের কাজে। চষে বেড়াচ্ছেন পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স। প্রতিদিনই বৈঠক করছেন। দার্জিলিংয়ে গুরুংয়ের বাড়ি ক্রোক করেছে আদালত। তাহলে কোথায় উঠবেন? বিমলপন্থী মোর্চা নেতা বিশাল ছেত্রীর দাবী, তা মিটে গিয়েছে। এখন আর সমস্যা নেই। কবে ফিরছেন? জবাব, খুব শীঘ্রই। তবে পাহাড়ে ওঠার আগে শিলিগুড়িতে বড় জনসভা করবেন গুরুং। যেখানে ভিড় জমাবেন পাহাড় ও সমতলের গুরুং ঘনিষ্ঠরা। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে হবে সেই সভা। শক্তি প্রদর্শনের সভা। এখান থেকেই নয়া রণনীতি ঘোষণা করবেন তিনি।
advertisement
যদিও বিমল ফিরলে পাহাড়ে ফের ফের অশান্তি ছড়াবে বলে প্রচার চালাচ্ছে বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। পাল্টা মিছিল করে পাহাড়জুড়ে। যদিও বিমলপন্থীদের দাবী, আসলে ওরা ভেড়া। জঙ্গলের বাঘ জঙ্গলে ফিরে আসছে। তাই ওরা ভয় পাচ্ছে। কোনও অশান্তি ছড়াবে না। আজ বিমলপন্থী মোর্চা নেতা বিশাল ছেত্রী জানান, আসন্ন একুশের লড়াইয়ে ভাল ফল করবে তারা। উত্তরবঙ্গ থেকে অন্তত ১৫-১৬টি আসন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে চাই। "বিজেপি দীর্ঘদিন পাহাড়বাসীকে ব্যবহার করেছে। দেরীতে হলেও তা টের পেয়েছি আমরা। এবার আর ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। উত্তরবঙ্গে ভাল ফলের আশা যেন না করে গেরুয়া শিবির।" সাফ ঘোষণা বিমল ঘনিষ্ঠদের। সবমিলিয়ে কনকনে শীতে পাহাড়ের রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা এসে পৌঁছলে সেই উত্তাপের তেজ আরও কয়েক গুন বেড়ে যাবে বৈকি!
Partha Sarkar