লকডাউন উঠলে মায়ের দর্শন পাবেন ভক্তরা। রামনবমীতে লক্ষাধিক জনসমাগমই মালদহের ভারত সেবাশ্রমের চেনা ছবি। কিন্তু, করোনার কারনে এবার কার্যতঃ নিয়মরক্ষার পূজো। আশ্রমের মূল ফটক বন্ধ। মূল মন্দিরের ভেতরে বিশাল দেবীমূর্তির সামনে মুখে মাক্স লাগিয়ে পুজো করছেন পুরোহিতেরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে পুজোর সাক্ষী জনাকয়েক ভক্ত। প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের নিরাপদ দুরত্ব। তিন হাত দূর থেকে অঞ্জলির ব্যবস্থা।
advertisement
দূরের ভক্তদের অনলাইনে পুজো দেখার সুযোগ করে দিতে ফেসবুকে লাইভের ব্যবস্থা। এভাবেই কার্যতঃ নম নম করে বাসন্তী পুজো সারা হল মালদহের ভারত সেবাশ্রম সংঘে। পুজো, অন্নকূট ভোগ, যঞ্জ, সমস্ত নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই পুজো চললেও ভিড় জমানোর সুযোগ নেই ভক্তদের। অন্যান্য বছরের মতো রামনবমীর মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বাতিল। ভক্তদের করোনা নিয়ে সতর্কতার বার্তা দিতে মন্ত্র উচ্চারনের মতোই পুজোর ফাঁকেই করোনার সচেতনতার প্রচারও সারলেন পুরোহিতেরা। সবমিলিয়ে অন্যরকম আবহে বাসন্তী পুজো মালদহের ভারত সেবাশ্রম সংঘে। প্রতিবছর মহা ধুমধাম করে বাসন্তী পুজো হয় মালদহের সাহাপুরে ভারত সেবাশ্রম সংঘে। জেলায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের যুক্ত ভক্ত সংখ্যা ৬০ হাজারেরও বেশী। আর প্রতি বছর বাসন্তী পুজো দেখতে ভারত সেবাশ্রম সংঘে আসেন লাখো মানুষ। এবার লকডাউনের জন্য ভক্তদের মন্দিরে না আসার জন্যই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেও যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা স্বল্পসময়ের জন্য প্রতিমা দর্শন করেই ফিরে যান। নিয়ম মেনে এবারও ৫৬ রকমের ভোগ দিয়ে দেবী অন্নপূর্নার উদ্দেশ্যে অন্নকূট নিবেদন করেন মহারাজরা। মুখে মাক্স বেঁধেই চলে অন্নকুট নিবেদন। ভারত সেবাশ্রম সংঘ জানিয়েছে, ভক্তদের কথা ভেবে এখনই দেবী বিসর্জন দেওয়া হবে না। লকডাউন উঠে গেলে আগামী ৭ মে বুদ্ধ পূর্নিমায় ফের বিশেষ পুজো পাঠ হবে। সেই সময় ভক্তরা দর্শন ও প্রসাদ পাবেন। যঞ্জ আর দীক্ষা গ্রহনও হবে।
সেবক দেবশর্মা