অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ভারতীয় জমিতে ঢুকে ক্ষেতে চাষ করা গম কেটে চুরি করে নিয়ে যায় বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা৷ ভারতীয়দের জমিতে লাগানো বিভিন্ন পাম্প সেট অকেজো করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ দিন সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা৷ বিএসএফ-এর সুকদেবপুর বর্ডার আউটপোস্টে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা এবং কৃষকরা৷ অভিযোগ জানানো হয় বিএসএফ-এর কোম্পানি কমানড্যান্টের কাছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: নভেম্বরেই ব্ল্যাক লিস্টে, তার পরেও কীভাবে সরকারি হাসপাতালে বিষ স্যালাইন? গাফিলতি স্পষ্ট
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বুধবার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পর বিএসএফ এপারের বাসিন্দাদের সীমান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর এই সুযোগেই বাংলাদেশের দুর্বৃত্তরা ভারতীয় কৃষকদের ফসল অবাধে লুঠপাট করছে। সবটাই বিজিবি-র মদতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন সুকদেবপুরের মানুষ। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের উপদ্রব কমাতেই তাঁরা কাঁটাতারের বেড়া চান৷ কিন্তু সেই কাজ ফের কবে শুরু হবে, তা নিশ্চিত নয়৷
গত বুধবার বিজিবি সুখদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগানোর কাজ শুরু করলে বাঁধা দেয় বিজিবি এবং সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশি বাসিন্দারা৷ পাল্টা বিএসএফ-এর পাশে দাঁড়ান এপারের গ্রামবাসীরা৷ তৈরি হয় উত্তেজক পরিস্থিতি৷ শেষ পর্যন্ত কাটাতারের বেড়া বসানোর কাজ বন্ধ রাখে বিএসএফ৷ কিন্তু বিজিবি-র পক্ষ থেকে সীমান্তে রীতিমতো সামরিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়৷ সুখদেবপুর সীমান্তে বাঙ্কারও তৈরি করা হয়৷ তার পর থেকেই থমথম পরিস্থিতি রয়েছে সুখদেবপুর সীমান্তে৷ শুধু মালদহ নয়, একই ভাবে কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুরেও কাঁটাতারের বেড়ার কাজে বাধা দেয় বিজিবি, বচসায় জড়ায় বিএসএফ-এর সঙ্গে৷