দূষণে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির মধ্যে শীর্ষে মহানন্দা। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সমীক্ষা রিপোর্টেই তার প্রকাশ। এবারে দার্জিলিং ও উত্তর দিনাজপুর সীমান্ত ঘেঁষা বিধাননগরের কাছে মহানন্দা নদীকে বাঁচাতে নামলেন ওরা। ওরা মানে বিধাননগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা।
advertisement
মৃণ্ময়ী প্রতিমা বিসর্জনের পর নদী বক্ষেই পড়ে ছিল কাঠামো। ছট পুজোর পরও নদী ঘিরে কলা গাছ থেকে শুরু করে পুজোয় ব্যবহৃত নানা উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এদিক ওদিক। নদীতে নেমে সেগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেন সংগঠনের সদস্যরা।
নদীকে বাঁচাতেই এই উদ্যোগ সংগঠনের। নদী থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলে এনে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। নদীর চারপাশে ছিল পুজোয় ব্যবহৃত ফুল থেকে ঘট-সহ অন্যান্য সামগ্রীও সংস্কার করা হয়। সদ্য সমাপ্ত ছট পুজোয় বেদি তৈরি করা হয় কলা গাছ দিয়ে। সেইসব কলা গাছও তুলে আনা হয় নদী থেকে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বাপন দাসের নেতৃত্বেই চলে নদী সংস্কার অভিযান। দূষণের হাত থেকে নদীকে বাঁচাতেই এই প্রয়াস বলে জানান তিনি।
রবিবার এই কাজ দেখতে এগিয়ে আসেন বিধাননগর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অফিসার ঋষি লাভা ও বিধান নগর পঞ্চয়েতের বাস্তুকার চিন্ময় মৈত্র। তাঁরাও ওয়েলফেয়ার সোসাইটির এহেন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এগিয়ে আসেন এলাকার স্থানীয় যুবকেরাও। মূলত নদী যাতে নতুন করে দূষণের কবলে না পড়ে সেজন্যেই নেমে পড়া বলে জানান তাঁরা।
শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীর দূষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে গ্রিন ট্রাইব্যুনালও। সেই নির্দেশ মেনেই লালমোহন মৌলিক ঘাটে এবারে নদীর বুকে বেদী করতে দেওয়া হয়নি। নদীর তীরেই স্থায়ী ছট পুজোর বেদী তৈরি করে দেয় পুরসভা। দূষণের হাত থেকে নদীকে বাঁচাতে বহু আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু দূষণের মাত্রা কমেনি, উল্টে ক্রমবর্ধমান! যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবেশপ্রেমীরা।