গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুজাপুর স্ট্যান্ড এলাকা থেকে বছর ৩৪-এর ওই যুবককে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃত যুবককে বৃহস্পতিবার মালদহ জেলা আদালতের তোলে পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে সাত দিনের হেপাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।আদালত সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন উদ্ধার হয়েছে দু'লক্ষ ৮৫ হাজার পাঁচশো টাকার জাল নোট। যার সবই ৫০০ টাকার নোট। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল, এদিন উদ্ধার হওয়া জাল নোটগুলি আগের চেয়ে উন্নত। প্রায় নিখুঁত জাল নোট খালি চোখে সাধারণের পক্ষে বোঝা মুশকিল। স্বাভাবিকভাবেই ফের জালনোট উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: নজরে পঞ্চায়েত ভোট, আগামিকাল থেকেই জেলা সফরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সূত্রের খবর, ফের জালনোট কারবারিরা 'মালদহ করিডর' ব্যবহার করে সক্রিয় হচ্ছে বলে খবর পায় এস টি এফ। শুধু তাই নয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুজাপুর স্ট্যান্ড এলাকায়় সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে নাসিউল শেখকে আটক করে এসটিএফ। এরপর তল্লাশি চালিয়েে উদ্ধার হয় জাল নোট।
আরও পড়ুন: চৈত্রের শেষে পুড়বে বাংলা ! আগামী কয়েকদিন আবহাওয়ার কী পূর্বাভাস দুই বঙ্গে, জেনে নিন
বাজেয়াপ্ত ওই নোট সহ ধৃত নাসিউলকে পরবর্তী তদন্তের জন্য কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় এসটিএফ। পুলিশের দাবি, ধৃত নাসিউল জাল নোট পাচার চক্রের ক্যারিয়ার। মালদহ থেকে ভিন রাজ্যে জালনোট পাচারের পরিকল্পনা ছিল নাসিউলের। আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে তাকে ভিন্নরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। বাংলাদেশ সীমান্তের ওপার থেকে ওই জাল নোট সীমান্তের এপারে আনা হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা তদন্তকারীদের। সীমান্তের ওপার থেকে নতুন করে জাল নোট এলে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর এই কারণেই ধৃত নাসিউলকে জেরা করে জালনোট পাচার সংক্রান্ত নতুন তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।