শুধু তাইই নয়, পুজোর আগেই ভ্রমনপিপাসুদের জন্যে আরও কিছু পরিষেবা বাড়াচ্ছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। দার্জিলিং ও ঘুম স্টেশনের মধ্যে তিনটি স্টিম এবং তিনটি ডিজেল ইঞ্জিন চালিত "জয় রাইড" এখন চলছে। পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে আরও একটি করে স্টিম এবং ডিজেল চালিত এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। কোভিড এবং লকডাউন কাটিয়ে পাহাড়ে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। বাড়ছে ‘জয় রাইড’-এর ওপর চাপও। টিকিটের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। সেই চাপ কমাতেই নয়া পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত রেলের।
advertisement
হেরিটেজ টয়ট্রেন এবং শৈলশহরকে ঘিরে পর্যটনের বিকাশে উদ্যোগী রেল। যখন টয়ট্রেনকে বেসরকারিকরণের পথে কেন্দ্রের নীতি নির্ধারক সমন্বয় কমিটি। তখন হেরিটেজকে রক্ষায় তৎপর দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। একাধিক পরিষেবা ও উন্নত পরিকাঠামোয় জোর দেওয়া হচ্ছে। চালু করা হয়েছে শিলিগুড়ি জংশন ও রংটংয়ের মধ্যে ‘জঙ্গল টি সাফারি’। এই সাফারিতে একটি ভিস্টাডোম কোচও রয়েছে।
এবারে পর্যটনের প্রসারে শুরু হচ্ছে ‘ঘুম ফেস্টিভাল ২০২১’! আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ফেস্টিভাল হবে। এডিআরএম জানান, এই ফেস্টিভালের মাধ্যমে দার্জিলিংয়ের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। ঘুম পৃথিবীর সর্বোচ্চ রেল স্টেশন। তাই এই স্টেশনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। টানা ২৩ দিনের ফেস্টিভাল পুরোটাই পর্যটনকেন্দ্রিক। থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দার্জিলিং চায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া থেকে টাইগার হিল থেকে কাঞ্চন দর্শন। রেলের এহেন প্রয়াসে উচ্ছ্বসিত ট্যুর অপারেটার্সরা ৷