আগামী ১৪ অগাস্ট হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এরআগেই ওই পঞ্চায়েত সমিতির তফশিলি উপজাতি সংরক্ষিত ২৪ নম্বর আসন থেকে জয়ী বিজেপি প্রার্থী সুলেখা সিংহ-র তফশিলি জাতির সার্টিফিকেট অবৈধ বলে ঘোষণা করে বাতিল করল প্রশাসন। সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ায় আগামী ১৪ তারিখ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের বৈঠকে বিজেপির ওই প্রার্থী যোগ দিতে অথবা ভোট দান করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ওই জয়ী প্রার্থী বোর্ডগঠনে যোগদান বা ভোটদান করতে না পারলে পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে বিজেপি।
advertisement
জানা গিয়েছে, হবিবপুরের ২৪ নম্বর আসনে হেরে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণিমা চৌধুরী গত ১৭ জুলাই বিজেপির জয়ী প্রার্থীর তফশিলি জাতি শংসাপত্র বৈধ নয় বলে দাবি করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে হবিবপুর ব্লক প্রশাসন। মালদহের মহকুমা শাসকের দপ্তরেও শুনানির জন্য ডাকা হয় বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে।
আরও পড়ুন: ৪ শিক্ষক গ্রেফতার, এবার ৭ শিক্ষক সিবিআই-এর সামনে! ফের জল্পনা
অভিযোগকারী তৃণমূল প্রার্থীর আইনজীবীর দাবি, বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুলেখা সিংহ পার্বতীডাঙ্গা এলাকার এক ব্যক্তিকে ‘বাবা’ সাজিয়ে, ভুল তথ্য দিয়ে নিজের তফশিলি জাতি সার্টিফিকেট পেয়ে ছিলেন। তদন্ত এবং শুনানির ভিত্তিতে ওই বিজেপি জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের মহকুমাশাসক। তৃণমূল প্রার্থীর আইনজীবীর আরও দাবি, তফশিলি উপজাতি সার্টিফিকেটের বলে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাই, সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ায় বোর্ড গঠনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বা ভোট দিতেও পারবেন না।
আরও পড়ুন: বিজেপির ‘অপহরণ’ অভিযোগ! জয়ী প্রার্থী জানালেন, ‘আত্মীয়ের বাড়িতে আছি!’
যদিও বিজেপি প্রার্থীর আইনজীবীর পাল্টা দাবি, তফশিলি উপজাতি সার্টিফিকেট বাতিলের যে নির্দেশের কথা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। ওই বিজেপি প্রার্থী ওড়িশার আদি বাসীন্দা। জন্মসূত্রেই তিনি নমঃশূদ্র। ওড়িশা সরকারের দেওয়া তফশিলি উপজাতি সার্টিফিকেট আগেই ছিল। পরে বিবাহ সূত্রে তিনি হবিবপুরে আসেন। এরপর তিনি এরাজ্যের সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, অন্য কাউকে বাবা সাজিয়ে সার্টিফিকেটের তথ্য সঠিক নয়। ওই বিজেপি প্রার্থী ইতিমধ্যেই প্রশাসনিকভাবে বোর্ড গঠনের বৈঠকে চিঠি পেয়েছেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অথবা ভোট দিতে তাঁর কোন বাধা নেই বলে পাল্টা দাবি বিজেপি আইনজীবীর।
যদিও এনিয়ে প্রশাসন কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এদিকে ওই জয়ী প্রার্থীর বৈঠকে উপস্থিত ও ভোটাধিকার প্রয়োগের উপরেই নির্ভর করছে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের ভবিষ্যৎ। ফলে তফশিলি জাতি সার্টিফিকেট বাতিলের ঘটনা বাড়তি মাত্রা পেয়েছে।