উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকোর সংসদ থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওই বুথে প্রার্থী দিতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল বা বাম কেউই। ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই সেখানে বিরাট ‘জয়’ বিজেপির! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের আনন্দে মিষ্টিমুখ ও আবির খেলায় মেতে ওঠে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার হাতে আছে এক ছোটখাটো ‘কেষ্ট মণ্ডল’ও! নাম-তথ্য তুলে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
অপরদিকে, নেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়। উধাও মারধর গন্ডগোল আর ঘরছাড়া হওয়ার গল্প! শাসক বিরোধী, সব দলের প্রার্থীদের নমিনেশনের ছড়াছড়ি। পঞ্চায়েত নির্বাচন মানেই এতদিন যেখানে রাজনৈতিক সন্ত্রাস, বিরোধীদের নমিনেশন জমা দিতে না পারা, মারধর গন্ডগোলের ছবি নিয়ম হয়ে উঠেছিল। এবার সেই খেজুরিতেই অন্য ছবি। রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় নমিনেশন জমা দেওয়াকে ঘিরে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ যখন সামনে আসছে, তখন একেবারে উল্টো ছবি সেই খেজুরিতেই। যেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নমিনেশনকে ঘিরে বিরোধী প্রার্থী না দেওয়ার অভিযোগ, হুমকি মারধর , ঘরছাড়ার মতো অভিযোগ বারবার সামনে আসত, সেখানেই এবার বিপুল নমিনেশন।
আরও পড়ুন: এক ফোনেই হবে কাজ! ক্যানিং থেকে ফিরেই ভোটের আগে বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যপালের
গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত দখলের নজির ছিল এই খেজুরিতেই। এবার কোনও রকম কোনো গন্ডগোল ছাড়াই খেজুরি ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের ১৮৫ আসনে প্রায় ৮৯৫ নমিনেশন দিল শাসক তৃণমূল সহ বিরোধী বিজেপি বাম এবং কংগ্রেস সহ নির্দল প্রার্থীরা। খেজুরি বিধানসভা এলাকার সবচেয়ে গন্ডগোল কবলিত খেজুরি ২ নম্বর ব্লকেই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৩টি আসনে ৩৭৬জন প্রার্থী এবং পঞ্চায়েত সমিতির ১৫টি আসনে ৬৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যা বিগত বাম জামানা থেকে তৃণমূল জমানা, বিগত কোনো পঞ্চায়েত নির্বাচনেই এই দৃশ্য দেখা যায়নি।