মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, ভাইরাল নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয় শিশুটির। এই সময়ে শিশুদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, উপস্বর্গ থাকলেই দ্রুত যেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার প্রয়োজন দ্রুত। কারণ দেরী হয়ে না গেলে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে শিশুরা। সুস্থতার হারও বেশ ভাল। মেডিক্যাল কলেজ থেকে অনেকেই সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে।
advertisement
অন্যদিকে, শৈলশহর দার্জিলিংয়েও বাড়ছে শিশুদের ভাইরাল ফিভার। প্রতিদিনই ভাইরাল ফিভারের উপসর্গ নিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে সদর হাসপাতালে। আক্রান্তদের মধ্যে কোভিড পজিটিভও মিলেছে। যদিও এখন প্রত্যেকেই সুস্থ। নতুন করে গত ২-৩ দিনে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। সঙ্গে মিলেছে স্ক্রাব টাইফাস, ডেঙ্গি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসও। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড এই মূহূর্তে রোগীতে ঠাসা। করোনার জন্য পৃথক আইসিইউ ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে বলে জানান সুপার শুভাশিস চন্দ। সবরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই অক্সিজেন পাইপও বসছে।
শুধু সদর হাসপাতালেই নয়, পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামেও বাড়ছে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিটি গ্রামীন, ব্লক হাসপাতালেও থিক থিক শিশু রোগীর ভিড়। উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের। তবে সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আক্রান্তের গ্রাফ বাড়লে বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনিক কর্তারা। ২৪ ঘন্টা বিশেষ কেয়ার নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাধীন শিশুদের।
Partha Sarkar