মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তায় দেখা যায়নি কোনও বনধ সমর্থককে৷ এখনও পর্যন্ত দোকানপাটের ঝাঁপ খোলেনি হিলকার্ট রোড, সেবক রোডে। তবে পাড়ায় পাড়ায় দোকান খুলেছে। বসেছে বাজারও।
একেই করোনার থাবায় বিদ্ধ শহর। আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধমুখী। তার মোকাবিলায় শহর ও লাগোয়া এলাকায় ২১টি বাজার ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচাইতে বড় আড়ত শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট। পুরসভার ১১টি ওয়ার্ডকে কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। সেখানকার দোকানপাট, বাজারও বন্ধ রয়েছে। তবে খোলা রয়েছে বিধান মার্কেটের ফল ও সবজি বাজার।
advertisement
সকাল থেকেই ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছে বাজারে। একেবারেই স্বাভাবিক সুভাষপল্লি ও রথখোলা বাজারও। বনধে গোলমাল এড়াতে বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো গোলমালের খবর পাওয়া যায়নি।
বনধের প্রভাব পড়েনি চা বলয়েও। তরাইয়ের সব বাগানেই সকাল থেকে পাতা তোলার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। বনধের কোনো প্রভাব পড়েনি পাহাড়ে। শৈলশহর স্বাভাবিক ছন্দে। যান চলাচল স্বাভাবিক। দোকানপাট, বাজার চেনা ছন্দে। মিরিক, কার্শিয়ংও স্বাভাবিক। বনধের প্রভাব সেখানে নেই বললেই চলে।
কালিম্পং জেলাতেও বনধের তেমন প্রভাব পড়েনি। রাস্তায় নেমেছে সরকারি এবং বেসরকারি গাড়ি। দেখা গেল বাজার খোলা, খুলেছে দোকানপাটও। পাহাড় ও সমতলের মধ্যে গাড়ি চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক। গতকাল বিকেলে বনধের সমর্থনে মিছিল করে বিজেপি। হেমতাবাদের ঘটনার নিন্দা করেছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি।
এদিকে পালটা জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে শিলিগুড়ির রাস্তায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। বিভিন্ন মোড়ে পথ সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল।