বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে কালিম্পংয়ে পৌঁছনোর মাঝে একাধিক জায়গায় তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওদের গাড়ি যখন শহরে ঢোকার মুখে তখন উৎসবের মেজাজ। রাস্তার দু'ধারে জনতা। উড়ছে জাতীয় পতাকা এবং স্কুলের ফ্ল্যাগও। ব্যাণ্ডের তালেই ব্যাণ্ড মাস্টারদের বরণ! বিশ্বজয় করে ফিরেছে যে! ওদের ঘিরে উন্মাদনা, উচ্ছ্বাসের বাঁধভাঙা জোয়ার! কালিম্পংয়ের রাস্তায় জনজোয়ার! গোটা জেলা যেন ভেঙে পড়েছে ওদের দেখতে। এক'দিন নজর পড়েছিল টিভির পর্দায়। থাকবেই না বা কেন! এই প্রথম দেশ থেকে এই ধরনের কার্নিভালে অংশগ্রহণ! এই ধরনের আসরে মার্চিং ব্যাণ্ড এবং নির্ভুল ড্রিলস মেলে ধরতে হয়। সব ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা দেখিয়ে এসছে পাহাড়ি পড়ুয়ারা। ১৯৪০ সাল থেকেই স্কুলে পাইপ এবং ড্রামস ব্যাণ্ড শুরু হয়। অবশেষে বিশ্বের মঞ্চে ডাক। তার পর সেরাটা তুলে ধরে ফিরে আসা! অসামান্য পারফর্মেন্স বললেও কম বলা হবে!
advertisement
অথচ ওদের যাওয়ার পথে শুরুতেই হোঁচট খেতে হিয়। বিমান বিভ্রাটের জেরে ১০ জুলাই আটকে পড়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। ভেঙে পড়েছিলেন স্কুলের সকলে। দার্জিলিংয়ের সাংসদের উদ্যোগে ১১ জুলাই রওনা হন। আজ খুশী ওদের মেন্টর প্রিয়দর্শি লামাও। স্কুলের মেন্টর জানান, বেশ কিছু নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি। যা আগামীতে কাজে লাগবে। কুমুদিনীর ব্যাণ্ড মাস্টারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংসদ রাজু বিস্তা, জিটিএর চেয়ারম্যান অনীত থাপা সহ অন্যরা।
পার্থপ্রতিম সরকার ও মণি লামা