গত দেড় বছর ধরেই এর সংস্কারের কাজ চালিয়ে আসছে ভারতীয় বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ। যার জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিমান চলাচল করে এই বিমানবন্দরে। চালু হয়েও বন্ধ রয়েছে নৈশকালীন বিমান পরিষেবা। কিন্তু শেষ পর্যায়ের কাজের টানা ১৫ দিন বিমানবন্দর বন্ধ রাখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের চূড়া থেকে রোগীকে নামানো হচ্ছে পালকি অ্যাম্বুল্যান্সে, দেখুন
advertisement
রানওয়ের সংস্কারের প্রয়োজনিয়তাকে মেনে নিলেও বন্ধ থাকার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিশেষত এপ্রিল মাস হল পর্যটনের মরসুম। একেই কোভিডের দুই ঢেউয়ের জেরে মার খেয়েছে উত্তরের পর্যটন শিল্প। ফের ছন্দে ফিরতে না ফিরতেই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে পর্যটনকেন্দ্রগুলি।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা ছিল, এপ্রিল থেকে জুন, এই তিন মাস আবার পর্যটকরা পাহাড় বা ডুয়ার্সমুখী হবেন। কেননা এই সময়ে ৬৫ শতাংশ ব্যবসা হয়ে থাকে পর্যটন শিল্পে। তাই তাদের দাবি, এখন দিল্লি সহ অন্য রাজ্যের বিমান ওঠানামা করছে সপ্তাহে ২ দিন। কড়া বিধিনিষেধ চলছে রাজ্যে। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে কেন বিমানবন্দর বন্ধ রেখে কাজ করা হবে না, সেই প্রশ্ন তুলছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দোমহনীতে কেন উল্টে গেল ট্রেন? দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে শুরু তদন্ত
শুধু পর্যটন শিল্পই নয়, দেশের অন্য প্রান্তের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের অন্য ব্যবসাও মার খাওয়ার আশঙ্কা। উদ্বেগে হোটেল ব্যবসায়ীরাও। পাশাপাশি চিকিৎসা বা অন্য জরুরি প্রয়োজনে বিমান ধরার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, বিমানবন্দর বন্ধ রাখা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পথ খোলা নেই। ভারতীয় বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে বন্ধ থাকার সময় উল্লেখ করেছেন। বিষয়টি রাজ্য সহ উড়ান সংস্থাগুলিকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত রানওয়ে সংস্কার সম্পন্ন হলে আধুনিকিকরণের পথে হাঁটবে বাগডোগরা বিমানবন্দর। রাতে এবং কুয়াশার জেরে বিমান বাতিলের মতো সমস্যাও অনেকটা কেটে যাবে। বাড়বে উড়ানের সংখ্যাও।