জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ দেবীনগরে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার নিখিল রঞ্জন মজুমদারের বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকতেন রিপন রায় এবং তাঁর ভাই পাপন রায়। দুই ভাই পঞ্জাবে বিএসএফ-এ কর্মরত। নিখিলবাবুর ছেলে সুজয় কৃষ্ণ মজুমদার রাজ্য পুলিশে কর্মরত। নিখিলবাবু অবসর গ্রহনের পরই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী। বাবাকে দেখতেই বাড়িতে এসেছিলেন ছেলে সুজয়। মেয়ে রূপা অধিকারীও বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁর বিয়ে হয়েছে মালদায়।
advertisement
জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ির সামনে আসেন দুইজন মহিলা ও একজন পুরুষ। তাঁদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই বাকবিতন্ডা চলছিল। তা দেখে সুজয়বাবু বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। সুজয় বাবুর সঙ্গে তাঁর দুই বোন দেবী সান্যাল এবং রূপা অধিকারীও বেরিয়ে আসেন। বাকবিতন্ডা চলাকালীন দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ।
তিনজনই গুলিবিদ্ধ হন।ঘটনাস্থলেই দেবী সান্যালের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় জুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকার পরই পথচারীরা তাঁদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। রাতেই রূপা অধিকারীর অস্ত্রপাচার করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রূপা দেবীকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বড় স্বস্তি! পিএসি চেয়ারম্যান নিয়ে রায় কলকাতা হাইকোর্টের!
সুজয়বাবুর আঘাত গুরুতর নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। রাতেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পাপন রায়ের দিদি জয়শ্রী দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত পাপন রায়কে গ্রেফতার করতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। অভিযুক্ত পাপনের খোঁজ না মেলায় রাত থেকে তার রায়গঞ্জ ব্লকের কাশীবাটির বাড়ি পুলিশ ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ পাপনের বাড়িটি সিল করে দেয়।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সানা আকতার এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পাপন রায় ওরফে সুজয়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। পুরোনা শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন রায়গঞ্জ পুরসভার পৌরপতি সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি গুলিবিদ্ধ একজনকে মালদায় স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করেন। ঘটনার পর প্রায় ১২ ঘন্টা কেটে গেলেও এলাকায় চরম আতঙ্ক রয়েছে।