জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভাঙামোড় এলাকার বাসিন্দা মিনতি শীলশর্মার সঙ্গে প্রায় ৪০ বছর আগে অসমের নলবাড়ির অধীর রায়ের বিয়ে হয়েছিল। ২০১৫ সালে এনআরসি সংক্রান্ত নোটিশ আসে তাঁদের নামে। মিনতি রায় তাঁর বাবার বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিলেও নামের বানান বিভ্রাটের কারণে সমস্যা মেটেনি। এরপর বিষয়টি আইনি পথে মেটানোর চেষ্টা করে তাঁর পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: অজয় আর বাধা নয়, বীরভূমের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানকে জুড়ল জয়দেব সেতু
সম্প্রতি তাঁদের ছেলে রামপদ রায় ফের হাজরাহাটে ফিরে এসে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ২০১৫ সালে নেওয়া রেসিডেন্ট ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত নথির খোঁজ করেন। কিন্তু ফের জটিলতা তৈরি হয়। এই প্রসঙ্গের রামপদ রায় বলেন, নথি নিয়ে বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছি। মায়ের নাগরিকত্ব নিয়েই বারবার প্রশ্ন উঠছে। ফলে গোটা পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আইসি’র হাতে ঘাস কাটার মেশিন! কারণ জানলে সব গুলিয়ে যাবে
বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতেও শুরু হয় তৎপরতা। এই ঘটনাতেই পঞ্চায়েত প্রধানকে পড়শির রাজ্যের আদালতে তলব করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে হাজরাহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনামা বর্মণ বলেন, আমার কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও অফিসিয়াল নোটিশ আসেনি। নোটিশ এলে বিডিওর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।