তিনি সাংবাদিকদের জানান, "আদালতের তরফে এমন কোনও চিঠি এসেছে কিনা তা জানা নেই। আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে ।" শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি মনীশ কুমার যাদবও আদালতের অর্ডারের কপি পাননি বলে জানান । তবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানান ।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার বাসিন্দা জয়া বর্মন গত মে মাসে তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন । শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মারধর ও নির্যাতনের কারণে ওই বধূর গর্ভে থাকা সন্তান অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারা যায় । এর পর ওই বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করলে আদালত ওই বধূর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জমা করতে বলেন। এর পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছে সেই সংক্রান্ত নথি চাইলেও কর্তৃপক্ষ তা দেয়নি বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন : বিস্কুট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপহরণের পর ৬ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা পানিপথে
আরও পড়ুন : করালবদন হিংস্র হাঙরকে খালি হাতে ধরলেন যুবক! নিমেষে ভাইরাল ভিডিও
প্রায় দেড় মাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছে আবেদন করেও সাড়া না মেলায় ক্ষুব্ধ জেলা আদালতের বিচারক দেবপ্রসাদ নাগ। এর পর আদালত সেই সংক্রান্ত নথি দ্রুত তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জমা করার নির্দেশ দেন সুপারকে। তারপরও আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি জমা হয়নি। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা দেয়নি। হাতে নথি না পাওয়ায় আদালতে তিনি জমা করতে পারেননি। এর পরই বিচারক মেডিক্যালের সুপারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির আগে সুপারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।