আরও পড়ুনঃ সিকিমে ভেসে যাওয়া এক সেনা জীবিত উদ্ধার! জোর কদমে চলছে এয়ার লিফটিং
পুজোর মধ্যে যাতে কোনও বিপত্তি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখছে বনবিভাগ। পুরুলিয়া বিভাগের বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “পুজোর কথা মাথায় রেখে হাতিদের গতিবিধির উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হচ্ছে। কোনও গতিবিধির খবর থাকলে বিভিন্ন রেঞ্জে মোতায়েন থাকা ব়্যাপিড রেসপন্স টিমকে নিয়ে মোকাবিলা করব আমরা।” পুরুলিয়ার এই দুই ডিভিশনের বান্দোয়ান, বাঘমুন্ডি, মাঠা, অযোধ্যা-সহ ঝালদা রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় একাধিক পুজো হয়। ফলে ঠাকুর দেখার জন্য এই পাঁচদিন এলাকার মানুষজন জঙ্গল – মেঠো পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে ‘মেন- এনিমেল কনফ্লিক্ট’ আটকাতেই বনদপ্তরের এই ব্যবস্থা।
advertisement
বনদফতর সূত্রে খবর, এক একটি রেপিড রেসপন্স টিমে ২৫ জন করে স্থানীয় মানুষজন মশাল, টায়ার, ফটকা নিয়ে রাত জাগবেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে ওই টিমকে নিয়ে চটজলদি ঘটনাস্থলে পৌঁছবে বনদফতর। বনদফতর সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগে কোনও হাতির উপস্থিতি না থাকলেও পুরুলিয়া ডিভিশনের বলরামপুরে যাতায়াত করছে একটি দাঁতাল।অন্যদিকে মাঝে মধ্যেই রাতে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভুম জেলা থেকে শাবক-সহ সাত – আটটি হাতির একটি দল বলরামপুরের একাধিক গ্রামে ঢোকে। যদিও রাতেই রেপিড রেসপন্স টিম ওই দলটিকে ফের ঝাড়খণ্ডে পাঠাতে সক্ষম হয়। তবে বনদফতরের আশঙ্কা, ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে থাকা ওই দলটি খাবারের সন্ধানে যে কোনও মুহূর্তেই ফের ঢুকতে পারে এই বনাঞ্চলে। অন্যদিকে ঝালদা ও বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের সুবর্ণরেখার ওপরে ঝাড়খণ্ডে পৃথক দু’টি দলে থাকা প্রায় ৫০ হাতি চোখ রাঙাচ্ছে।