জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস আগে মহঃ জালিমুউদিন ছেলে জিকরে আলমের সাথে ঐ গ্রামের মুজামিল হোকের মেয়ে রুকেজা বেগমের বিয়ে হয়। অনুষ্ঠান ভাবে বিয়ে হয়নি জোর পূর্বক ভাবে বিয়ে হযেছিল ।বিয়ের পর ছেলের বাড়ির লোকজন এই বিয়েতে সহমত তেমন ছিল না। বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় ছেলেটি কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে চলে যায় । মেয়েটি গত শুক্রবার বাপের বাড়ি চলে যায় । সে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়ের বাড়ির লোকজন গ্রামের মাতব্বরদের নিয়ে সালিশি সভা ডাকে ।তরিযাল গ্রাম পঞ্চায়েতর সদস্য সালিশি সভাতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
advertisement
ছেলের বাড়ির লোকজন পঞ্চায়েত সদস্য উপস্থিত না থাকার কারণে সালিশি সভাতে যেতে অস্বীকার করেন।ফলে মেয়ে বাড়ির লোকজন সহ গ্রামের মাতব্বরা তার বাড়িতে গিয়ে লাঠিসোটা, নিয়ে হামলা করে বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ।বাড়ির লোকদের মারধোর করে বলে অভিযোগ।সেই মারে গুরুতর আহত হন ছেলের বাবা বৃদ্ধ জালিমুদ্দিন(৫৫)।তাকে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন।এছাড়াও আরও একজন আহত হয়েছেন।চাকুলিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছেন, কোন রকম মারধর নয়,ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। দেহ ইসলামপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও কোন পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে নি। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।অভিযোগ পেলেই নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু করবে চাকুলিয়া থানার পুলিশ।
Uttam Paul