পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের চেপানী হল্ট সংলগ্ন এলাকায় চার নাবালক স্কুটিতে চেপে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় স্কুটির। স্কুটির পিছনে বসে থাকা বিশাল বিশ্বাস জাতীয় সড়কে ছিটকে গিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শামুকতলা রোড ফাঁড়ির পুলিশ। চারজনকে উদ্ধার করে যশোডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসক বিশাল বিশ্বাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্য তিন নাবালক গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
advertisement
জানা গিয়েছে, একই স্কুটিতে চার জন ছিল। তাদের বাড়ি টটপাড়া চড়াইমহল এলাকায়। বিশাল এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিত যশোডাঙ্গা হাই স্কুল থেকে। এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, চারজনই যশোডাঙ্গা হাইস্কুলের ছাত্র ছিল। এদের মধ্যে স্কুটি চালক বিশাল একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। বাকি তিনজনও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বিশালের দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই হাসপাতালে উপচে পড়ে ভিড়,শেষবারের মতো পাড়ার ছেলেকে দেখার জন্য। শামুকতলা রোড ফাঁড়ির ওসি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হবে। মৃতদেহ শামুকতলা থানায় পুলিশ হেফাজতের রাখা হয়েছে। শনিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিশালের বাবা গাড়ি চালান ভিনরাজ্যে। বিশালের পরিবারে আছে মা-বাবা আর ছোট বোন।
রাজকুমার কর্মকার