পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ছোট গাড়ি শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথে অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করার সময় উলটো দিক থেকে আসা একটি ১২ চাকার ট্রেলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় ছোট গাড়িটি কার্যত চিরে চ্যাপ্টা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালক মনোজিৎ বিশ্বাসের। তিনি কুমারগ্রামের সঙ্কোশ চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
advertisement
প্রত্যেক বিধানসভায় ১১টা করে শুনানি কেন্দ্র, SIR-এ ডাক পেলে কী কী করা হবে? ৩২ লক্ষ ভোটারকে নোটিস
স্ত্রীর নামে পোস্টঅফিসে ১ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোসিট করলে ২ বছরে কত টাকা মিলবে?
গাড়িতে থাকা বাকি দুই যাত্রীও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। তাঁদের মধ্যে একজন শৌভিক বিশ্বাস। তিনিও সঙ্কোশ চা বাগানের বাসিন্দা এবং সম্পর্কে মনোজিতের কাকাতো ভাই। তৃতীয় মৃত ব্যক্তি রাজু মণ্ডল, আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন গাড়ির মেকানিক ছিলেন।
সংঘর্ষের পর ট্রেলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। দীর্ঘক্ষণ ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে তিনজনের মৃতদেহ বের করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার সময় এলাকায় ঘন কুয়াশা ছিল। দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি থাকায় চালকদের পক্ষে রাস্তার পরিস্থিতি বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁদের মতে, কুয়াশার কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
