তাদের দাবি, এই এলাকায় মেডিকেল কলেজ রয়েছে। কোভিড সাস্পেক্টেড হাসপাতাল রয়েছে। তারপর আবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার কেন? গোটা এলাকা জনবসতিপূর্ণ। স্কুলের কোনও সীমানা পাচিল নেই। স্কুল ঘেঁষা বাড়ি ঘর। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা। তাদের দাবি, অন্যত্র সরানো হোক এই সেন্টার।
স্থানীয় বাসিন্দা ফুলু বর্মন জানান, একেই করোনা ছড়াচ্ছে। এলাকায় মানুষের বসবাস বেশি। সেন্টার গড়ে উঠলে এলাকায় সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই অন্যত্র তৈরি করা হোক। আর এক বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল জানান, একই এলাকায় কোভিড সাস্পেক্টেড থেকে আইশোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। স্কুলের কোনও পাচিল নেই। স্কুলের মাঠেই পাড়ার লোকেরা মর্নিং ওয়াক করেন। বিকেলে কচিকাচারা খেলাধূলো করে এই মাঠেই। তাই আমরা চাইছি অনতিদূরের বিশ্ব বাংলা শিল্পী হাটে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হোক।
advertisement
এই স্কুলে সেন্টার করার খবরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকায় একাধিক জায়গাতেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শিলিগুড়ির কাছে সুকনার একটি নেপালি স্কুলেও একইভাবে বিক্ষোভ দেখায় মোহিরগাঁও গুলমা চা বাগানের শ্রমিকেরা। তার আগে শালবাড়িতে একটি বেসরকারি ইন্সটিটিউশনেও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ চলে। কিন্তু ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক থেকে অন্যান্যরা ফিরছেন শহর ও মহকুমায়। আর তাদের জন্যেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হচ্ছে। কিন্তু বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি হলেই যে করোনা ছড়াবে, এমনটা তো আর নয়। কিন্তু স্থানীয়রা তা বুঝছেন না। প্রশাসনিক কর্তারা বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।