জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকৈল পঞ্চায়েতের লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এই কিশোরীর বিয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল পরিবার।বুধবার রাতে এমনি খবর পায় চাইল্ড লাইন। সেই খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিয়ের দিন দুপুরে পুলিশ নিয়ে পাত্রীর বাড়িতে হাজির হয় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সমাজকল্যাণ অফিসার দেবব্রত ঘটক ও চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাস।
advertisement
এদিন বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে ব্লক প্রশাসন নাবালিকা কন্যার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। বাল্য বিবাহের উদ্যোগ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে প্রশাসন অভিভাবকদের বোঝান। মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দেওয়া কেন আইনত অপরাধ সেই কথাও তুলে ধরেন। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের আগে কন্যার বিয়ে দিলে রাজ্য সরকারের দেওয়া রুপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা যেমন মিলবে না, তেমনি স্কুলে পাঠানো বন্ধ করলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই ১৮ বছরের আগে কন্যার বিয়ে নয়।
প্রশাসনের কথা শুনে কন্যার ১৮ বছর বয়স না হলে বিয়ে দেবেন না বলে সম্মতি জানিয়ে লিখিত মুচলেকা দেন বাবা-মা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুশমন্ডি ব্লকের চৌষা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ধনকৈল হাইস্কুলের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রীর। এদিন ব্লক প্রশাসন ও চাইল্ড লাইন হাজির হয়ে সেই বিয়ে স্থগিত করে দেওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। এদিন উত্তর দিনাজপুর চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাস জানান কালিয়াগঞ্জের লক্ষীপুর ডাঙ্গাপাড়ার ১৭ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর বিয়ের সম্পর্ক স্থির করেছে তাঁর পরিবার । সেই খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সমাজকল্যাণ অফিসার দেবব্রত ঘটক ও পুলিশ অফিসার নীরেশ রায়ের সঙ্গে এসেছিলাম। অত্যন্ত দরিদ্র এই পরিবার তাদের নাবালিকা কন্যার বিয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল মূলত দারিদ্র্যের কারণে। এদিন প্রশাসনের তরফে নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করার পরামর্শ দিলে তাতে সম্মতি জানায় কন্যার বাবা-মা। আপাতত কোন আইনি পদক্ষেপ নিতে হয়নি প্রশাসনকে৷
Uttam Paul