মামলার বয়ান অনুযায়ী গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির বুথে গুলি চালানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেদিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গুলি চালানোর আগে কি আদৌ অন্য কোনও ব্যবস্থা অবলম্বন করেছিল কি? নির্বাচন কমিশন সুপ্রিমকোর্টের দেওয়া গাইডলাইন যথাযথ পালন করেছিল কিনা ইত্যাদি বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা যাতে বিচার পায় তার জন্য বিষয়গুলি আদালতের সামনে পরিষ্কার হওয়া দরকার বলে সিবিআই তদন্ত অথবা হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া জরুরি বলে দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী।
advertisement
শীতলকুচির আমতলী মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথে যে চারজনকে গুলি করা হল এবং ২৮৫ নম্বর বুথে আলাদা একটি ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়-- এই ঘটনাগুলি যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরী এবং সেই তদন্ত একমাত্র বিচারবিভাগীয় কোনও উচ্চ কমিটি অথবা সিবিআই একমাত্র নিরপেক্ষভাবে করতে পারবে বলে মনে করছেন তিনি। অধীরবাবুর প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাহিনী সেদিন দেহের অন্যান্য অংশে অথবা পায়ে কেন গুলি চালাল না? শীতলকুচিতে সেদিন আদৌ পরিস্থিতি কি প্ররোচনামূলক ছিল? কী এমন ঘটেছিল যে গুলি চালাতেই হয়েছিল সিআরপিএফকে ? এই সমস্ত ঘটনার সত্য সামনে আসা জরুরি বলে মনে করছেন অধীর চৌধুরী।
প্রসঙ্গত শীতলকুচিতে গুলির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে এর আগে আরও দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল । শুক্রবার সকালে সেই সংক্রান্ত মামলার নির্দেশে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই সিআইডিকে ৫ মে'র মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।