শনিবার সকালে রেলপথে বহরমপুর স্টেশনে এসে নামেন তিনি। তারপর সার্কিট হাউসে চলে যান। সেখান থেকে সরাসরি হাজারদুয়ারী প্যালেস পরিদর্শন করেন। এরপর শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারে ক্যান্সার পলিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট ও লাইব্রেরীর রিডিং রুমের উদ্বোধন করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই অধীরের প্রস্তাব শুনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। অবসরের পর আমি রাজনীতিতে আসতে পারি। কিন্তু সেটা কোনও দলীয় রাজনীতি হবে না। তবে অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার। তিনি বলেন, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আমি চাইব অধীরবাবু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তার নিজের সিটটা ছেড়ে দিক। তাহলেই বোঝা যাবে ওঁর কথার মধ্যে কতটা সত্যতা ও সততা রয়েছে।
advertisement
বিজেপির জেলা সভাপতি শাখার সরকার বলেন, অধীরবাবু রাজনীতিতে দেওলিয়া হয়ে গিয়েছেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেহেতু যুব সমাজের কাছে আইকন। তাই তাকে ধরে রাজনীতিতে আবার প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আইন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার। বর্তমান আইনব্যবস্থা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষা।
১৫০কোটি লোকসংখ্যার ভারতবর্ষে সাধারন মানুষের সমস্যার সমাধানে আরও দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এই ব্যাপারে সকলকেই পদক্ষেপ করতে হবে।সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলার মানুষের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভরসা অর্জন করেছেন। আমি চাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটি নির্বাচন হোক। এই মানুষটিকে ভোট দিতে আমি আগে লাইনে দাঁড়াব।
