মালদহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,"অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত মালদহ মেডিকেল কলেজ। অক্সিজেন থেকে অন্যান্য আধুনিক পরিকাঠামো সবই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত কোনও শিশুর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তির খবর নেই মালদহে।"
গৌড়বঙ্গের শিশু চিকিৎসার অন্যতম ভরসা কেন্দ্র মালদহ মেডিকেল কলেজ। মালদহ মেডিকেল কলেজে রয়েছে শিশু চিকিৎসার জন্য শতাধিক শয্যা। রয়েছে শিশু বিভাগ, নিকু, পিকু, এস এন সি ইউ প্রভৃতি আলাদা আলাদা শিশু চিকিৎসা বিভাগ। অ্যাডিনোভাইরাসের মোকাবিলায় এই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। জ্বর, সর্দি কাশির মতো কোনও লক্ষণ নিয়ে শিশুরা এলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা - নিরীক্ষা সেরে ফেলা হচ্ছে।
advertisement
হাসপাতাল সূত্রে খবর গত কয়েকদিনে গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন করে অসুস্থ শিশু ভর্তি হচ্ছে মালদহ মেডিকেলে। যাদের শরীরে জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। মালদহ মেডিকেল কলেজে যেসব রোগীরা ভর্তি রয়েছে শিশু বিভাগে, তাদের অধিকাংশই সাধারণ জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ রয়েছে। কোনও শিশুকে অ্যাডিনো আক্রান্ত মনে হলে তাকে আলাদা করে রেখে চিকিৎসা করা হবে। যদিও মালদহে অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষার কোনওরকম পরিকাঠামো নেই। ফলে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে কলকাতায়। তবে এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনোভাইরাস টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এই ধরনের কোন রোগীও মালদহ মেডিকেলে ভর্তি হয়নি।
মালদহ মেডিকেল কলেজের মেডিকেল সুপার পুরঞ্জয় সাহা জানিয়েছেন, "মালদহ মেডিকেল কলেজে গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন নতুন শিশু প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে। আবার প্রতিদিনই কিছু শিশু সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, সরকারি নির্দেশিকা মেনে অ্যাডিনোভাইরাস চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে কোনওরকম উপসর্গ দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বা হাসপাতালে শিশুকে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।"