সেখানে গিয়ে মমতার উদ্যোগের প্রশংসা করে অভিষেক বলেন, ‘আশা করি ঠিক হয়ে ওরা বাড়ি ফিরবে। এরা দিন আনে দিন খাওয়া পরিবার। সবার উপর ভরসা রাখতে বলেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারও হাতে থাকে না। নিউরো স্পেশ্যাল হাসপাতাল বলে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের বাড়ি নেই। বাড়ি সংসার বিকল্প ব্যবস্থা হবে। প্রাণ চলে গেলে ফেরত আসে না। প্রাণে বাঁচলে আসতে আসতে সব হবে। মমতা বন্দোপাধ্যায় কাল রাতে এসেছেন। আজ আলিপুরদুয়ার গিয়েছেন। রেসকিউ কাজ দেখেছেন। রিলিফ সেন্টারে থাকতে বলেছেন। সরকার সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। রাজনৈতিক ইস্যু করবেন না। রাজনীতি পরে হবে।’
advertisement
আরও পড়ুন: বিপদেও তিনি, ক্ষোভেও তিনি! জলপাইগুড়ির এখন ত্রাণই সম্বল, সহায় সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা
অভিষেকের কটাক্ষ, ‘বিরোধীদের কটাক্ষ ছাড়া কিছু নেই। বিরোধী দলনেতা রাজনীতি করছেন। ৩০০ কিমি বালুরঘাট থেকে জলপাইগুড়ি আসতে পারলেন না। ৬২০ কিমি দূর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে এলেন। পিএম ভুটান, সেমিনার, মন্দির, ইন্টারভিউ দিতে পারেন। আর মানুষের পাশে থাকতে পারেন না। ভোট না দিলেও আমরা পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর। আমি ময়নাগুড়ি ১,২ যেতে চেয়েছিলাম। মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। এমসিসি চালু আছে কিছু বলা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করতে চাইলে আজ সকালে আসতে পারতেন। এক সেকেন্ড এক মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওই হাসপাতালের উপর অনেকে নির্ভনির্ভরশীল। এই বাচ্চার মাথায় লেগেছে। অপারেশন রিস্ক নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ির ঝড়ে প্রাণ ঝরেছে ৫, উত্তরবঙ্গে লাগাতার ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা! জানুন আবহাওয়ার বড় খবর
দুর্যোগের দুর্গতদের অভিষেক বলেছেন, ‘আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি মানুষকে বলব আস্থা রাখুন। আপনারা প্রশাসনের উপর ভরসা রাখুন। ভোট দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। না দিলেও আছেন। এরা ট্যুইট করে কাজ শেষ। নিজের চোখে দেখুন কারা রাজনীতি করছে। বিরোধী দলনেতা বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন। কতবার গিয়েছেন সন্দেশখালি। গ্রেফতারের পর কতবার গিয়েছেন। আরেকজন রাজ্যপাল নন, উনি পদ্মপাল। কার ইন্ধনে সন্ত্রাস হচ্ছে। উনি তো স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পরপর ভোট হয়েছে। মানুষ উৎসাহ নিয়ে ভোট দেবেন। মানুষ এদের জবাব দেবেন। এদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ১৭ দিন হয়ে গেল। আবাসের বাড়ির টাকা দেয়নি। আমি তো বারবার চ্যালেঞ্জ করছি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলছেন তিনি টাকা দিতে বারণ করেছেন। আবাস পাকা হলে বাচ্চাদের এই অবস্থা হত না। যদি টাকা দিয়ে থাকেন। তাহলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল আটকে দিলে পরিষেবা ব্যাহত হয়। কে ছবি তুলতে এসেছে মানুষ দেখছে। জন বার্লা, রাজু বিস্তা, দেবশ্রী চৌধুরী, সুকান্ত মজুমদার, নিশীথ মজুমদার, কার্তিক পাল কেউ কি পাশে দাঁড়িয়েছে? আমরা এর পরেও পরিষেবা দেব। তল্পিবাহকতা করতে দিল্লি যায় আসে দিনে দু’বার। আর ৪০ কিমি দূরে এখানে যেতে পারল না।’
আবীর ঘোষাল