#আলিপুরদুয়ার: রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছাড়া হল ছটি শকুন। খোলা আকাশে উড়ল হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনগুলি। দেশের মধ্যে এই প্রথমবার কোনও শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছাড়া হল শকুন। দাবি বনমন্ত্রীর।
দেখতে মন্দ হলেও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শকুনের জুড়ি মেলা ভার। বনদফতরের উদ্যোগে ২০০৬ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে শুরু হয় শকুন প্রজনন কেন্দ্র। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলুপ্তপ্রায় শকুন উদ্ধার করে এখানে রেখে তাদের বংশবৃদ্ধি করা হয়। প্রায় ১৩ বছর পর মঙ্গলবার এখান থেকে ছ'টি শকুন ছাড়া হল। দেশের মধ্যে এই উদ্যোগ প্রথম। বলছেন বনমন্ত্রী।
advertisement
এই মূহূর্তে চার প্রজাতির মোট ১৩০টি শকুন রয়েছে কেন্দ্রে। স্ল্যান্ডার বিল্ড, লং বিল্ড,হোয়াইট ব্যাক বিল্ড ও হিমালয়ান গ্রিফন -এই চার প্রজাতির শকুন রয়েছে কেন্দ্রে। গত কয়েকবছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে শকুনের সংখ্যা। কারণ হিসাবে উঠে এসেছে Diclofenac-র ব্যবহার।
গবাদি পশুর ব্যথা কমানোর ওষুধ Diclofenac। মরা গবাদি পশুর শরীরে ১ শতাংশ ডাইক্লোফেনাকের উপস্থিতিও ক্ষতিকর শকুনের পক্ষে। এই ওষুধ শরীরে ঢুকলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় শকুনের। এই পরিস্থিতিতে শকুন বাঁচাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে বন দফতর।