TRENDING:

সুজাপুরে বিস্ফোরণের তীব্রতা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতামতের অপেক্ষা

Last Updated:

মালদহের সুজাপুরের প্লাষ্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ যান্ত্রিক কারনেই, এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মালদহ: মালদহের সুজাপুরের প্লাষ্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ যান্ত্রিক কারনেই, এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এত জোড়ালো কেন?  তা জানতে এখন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতামতের অপেক্ষায় পুলিশ। বিস্ফোরণের তীব্রতা ভাবাচ্ছে  তদন্তকারীদেরও।
advertisement

মালদহের সুজাপুরে যে ধরনের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, সেরকম অন্তত ২০ টি কারখানা রয়েছে সুজাপুর ও কালিয়াচকের মধ্যে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু'ধারে। বেশির ভাগ কারখানা ১০ থেকে ২০ বছরের পুরনো।  এইসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক যাঁদের মধ্যে রয়েছে নাবালক ও মহিলারাও। সাধারণত উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য এমনকী বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও অব্যবহৃত প্লাষ্টিক সামগ্রী এসে পৌঁছয় এইসব কারখানায়। সেখানে প্লাষ্টিকগুলি বাছাই করে কাটিং মেশিনে ফেলে ছোট ছোট টুকরোর আকার দেওয়া হয়। এরপর ওইসব প্লাষ্টিক টুকরো জলে ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে পাঠানো হয় কলকাতা-সহ উত্তর ভারতের কিছু রাজ্যে। এইসব প্লাষ্টিক কুঁচি দিয়ে তৈরি হয় রকমারি নতুন প্লাষ্টিক সামগ্রী। যে কাটিং মেশিনে বিস্ফোরণের কথা বলা হয়েছে সেগুলি ৪০ থেকে ৪৫ অশ্বশক্তি  সম্পন্ন। বিদ্যুৎ চালিত এই মেশিনে মোটর ছাড়াও, চর্তুদিকে লোহার মোটা পাত আর ধারালো ব্লেড থাকে। তবে বছরের পর বছর কারখানাগুলি চললেও অতীতে এমন কোনও বিস্ফোরনের নজির নেই।

advertisement

বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, মেশিনের প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই, কয়েকটি ছোট ছোট টুকরো এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে দুই থেকে আড়াই ফুট গভীর গর্ত। কারখানার টিনের চাল ঝুলে রয়েছে আশপাশের বিভিন্ন গাছে। এমনকী মৃতদের দেহাংশও বহু দূরে ছিটকে পড়ে। এখন এই বিস্ফোরণের ব্যপকতায় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। যেভাবে মেশিনের অংশ টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে, তাতে তদন্তকারীদের অনুমান, মেশিন চালু থাকা অবস্থাতেই বিস্ফোরণ হয়েছি। ঘটনাস্থলে তেমন গন্ধ জাতীয় কিছু না মেলায় রাসায়নিক কোনও কারণ নেই বলেই প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। মেশিনের যান্ত্রিক সমস্যা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত সব সম্ভবনা খতিয়ে দেখে তদন্তের কাজ এগনো হচ্ছে। এদিকে ঘটনার পরেই মালদহের সুজাপুরে অন্যান্য প্লাস্টিক কারখানাগুলিতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ করে উধাও হয়ে যান মালিক ও কর্মীরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

SEBAK DEB SARMA

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
সুজাপুরে বিস্ফোরণের তীব্রতা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতামতের অপেক্ষা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল