এখন ওদের বয়স ৫ মাস! বেশ বড় হয়ে উঠছে। একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে। খাওয়া দাওয়াও ঠিকঠাকই করছে বলে জানান সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ। করোনাকালেই মা 'শীলা' জন্ম দেয় তিন শাবকের। এর আগে ২০১৮-র মে মাসে তিন শাবকের জন্ম দেয় 'শীলা'। তার মধ্যে এক শাবকের মৃত্যু হয়েছে। একেবারে নির্জনতার মধ্যেই নিজেদের এনক্লোজারে বেড়ে উঠছে সাফারি পার্কের নতুন অতিথি ত্রয়ী। নিজেদের মধ্যে খেলাধুলোয় মগ্ন থাকছে। কখনও ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে দেওয়ালে হাত, পা ছড়িয়ে রোদ পোহাচ্ছে। আবার কখনও একে অপরের গালে গাল বুলিয়ে দিচ্ছে। এনক্লোজারের ঘেরাটোপেই লাফাচ্ছে। যেন আর কিছুতেই বদ্ধ ঘরে ভাল লাগছে না কাটাতে! একটু খোলামেলা পরিবেশে রাজ করতে চাইছে। কিন্তু বিশালাকার সাফারি পার্কে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন বনকর্তারা। আরও কিছুদিন অন্তত ওদের ঠিকানা এনক্লোজারই। তারপর সামনে আনা হবে। নামকরণ এখনও হয়নি।
advertisement
এই মূহূর্তে সাফারি পার্কে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে সাতে। এর মধ্যে একটি সাদা রয়েল বেঙ্গল টাইগারও আছে। শীতের ভরা পর্যটন মরসুমে পর্যটকদের কাছে আবির্ভাব হতে পারে ত্রয়ীর। তেমনই ইঙ্গিত দিলেন পার্কের ডিরেক্টর। আগামী ২৬ জানুয়ারি ছুটির দিন থেকে পর্যটকেরা দেখতে পারে তিন শাবককে। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে দেওয়ার একটা সুযোগ দিতে চায় সাফারি কর্তৃপক্ষ। এনক্লোজার থেকে সামনে এলে নতুন তিন অতিথিকে দেখতে ভিড় বাড়বে পর্যটকদেরও। অপেক্ষায় পর্যটকেরাও।
Partha Sarkar