এরপর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা তাদের মৃত্যু কথা জানানোর পরই দেহ ময়নাতদন্ত না করেই বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবার। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনাটি তাঁরা জেনেছেন। তবে, জলে ডুবে কোন শিশুর মৃত্যু হলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেহ সৎকার করা যায়। এই ঘটনাতেও মৃত শিশুর অবিভাবকরা ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়নি।
advertisement
অপরদিকে, দুর্গাপুরের কোর্ট লকআপে এক বিচারাধীন বন্দীর আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ দুর্গাপুর আদালতে। গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রঞ্জিত সিং। সে দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গির স্কুল পাড়ার বাসিন্দা। বছর আঠাশের এই যুবককে দুর্গাপুর থানার পুলিশ স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।সোমবার রঞ্জিতের স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়,যে ঘটনায় মৃতার পরিবার রঞ্জিতের পরিবারের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।বুধবার দুর্গাপুর আদালতে অভিযুক্ত রঞ্জিত সিংকে তোলে পুলিশ,আর কোর্ট লকআপে আনার পরই ঘটে যায় এই ঘটনা,কোন ক্রমে পুলিশ তড়িঘড়ি অসুস্থ রঞ্জিত সিংকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কোর্ট চত্বরে। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
মিথ্যে অভিযোগে তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে। এমনই দাবি অভিযুক্ত রঞ্জিত সিংয়ের।দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী দেবব্রত সাঁই জানান,বিষয়টি খুব চিন্তার পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।
অন্যদিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মণ্ডল জানান,পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে গেছে বিচারাধীন বন্দীকে। মানসিক যন্ত্রনা থেকেই অভিযুক্ত রঞ্জিত সিং আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
