বর্তমানে এই ওয়ার্কশপে কাজ করছেন ২০ জন মহিলা শিল্পী। শুধু নিজের জন্য নয়, অপরেকেও সুখী রাখার জন্য শিল্পী দীপ দত্তের এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন শিল্পী ও ব্যবসায়ী মহল। ডিজাইনার দীপ দত্ত জানিয়েছেন, বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তার এই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। প্রথমে নিজেই অর্ডার নিয়ে বানাতেন। আস্তে আস্তে এই ডিজাইনের পোষাকের চাহিদা বাড়তেই তিনি মায়ের নামে এই ওয়ার্কশপটি গড়ে তোলেন। বর্তমানে এই ওয়ার্কশপে কাজ করছেন ২০ জন মহিলা শিল্পী। এছাড়া তিনি আরও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিবন্ধী যুবক-যুবতীদেরও এই পেশায় অংশগ্রহণ করিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই শিল্পী দীপ দত্তের সাফল্যের ঝুলিতে এসেছে স্টেট অ্যাওয়ার্ড, এমএসএমই অ্যাওয়ার্ড, সর্বশিক্ষার অ্যাওয়ার্ড সহ বহু পুরষ্কার। শিল্পীর শিল্পনৈপুন্যে তৈরি নানা ডিজাইনের পোষাক জায়গা পেয়েছে রুপালী পর্দার একাধিক সিনেমা সিরিয়ালে।
advertisement
পুতুল টেক্সটাইলে কাজের অভিজ্ঞতা না থেকেও যোগ দিয়ে আজ স্বনির্ভর হতে পেরে আপ্লুত গুমা রেলকলোনীতে থাকা দরিদ্র পরিবারের গৃহবধুরা। তারা নিজে মুখে জানালেন তারা মাসে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা রোজগার করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারছেন। শিল্পী দীপ দত্তের এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন তার মা পুতুল দত্ত। ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে ছেলেকে বড় করে তোলার জীবন সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন পুতুল দেবী। তিনি জানালেন, ছেলে আরও এগিয়ে যাক। সেইসঙ্গে আরও অনেক পরিবারকে স্বনির্ভর করে তাদের মুখে হাসি ফোটালেই সার্থকতা পাবে তার জীবন-সংগ্রাম। শুধু নিজের জন্য নয়, অপরেকেও সুখী রাখার জন্য শিল্পী দীপ দত্তের এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন শিল্পীমহল।