আরও পড়ুন: পূর্বস্থলীর দু’টি পঞ্চায়েত তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ২৭ নম্বর সিটে সিপিএমের প্রার্থী হাবিব আলি। মঙ্গলবার রাতে জেলা পরিষদের ভোট গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল প্রার্থী আসারুজ্জামানের থেকে তাঁরা প্রায় দেড় হাজার ভোটে এগিয়ে যান বলে দাবি আহত সিপিএম প্রার্থীর ভাই বাপি ইসলামের। তিনি দাদার কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন। অভিযোগ করেন, শাসকদলের প্রার্থী ও তাঁর লোকজন গণনা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বললেও তাঁরা রাজি হননি। এরপরই সিপিএম প্রার্থী হাবিব আলির মুখ লক্ষ্য করে পরপর ঘুসি মারা হয়। তারপর গণনা কেন্দ্রের একের পর এক চেয়ার ভাঙা হয় ওই বাম প্রার্থী ও তাঁর কাউন্টিং এজেন্টদের পিঠে।
advertisement
এই অশান্তির সময় তাঁদের ত্রাতা হিসেবে অন্য এক তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে আসেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী উদ্যোগ নিয়ে ওই আহত সিপিএম প্রার্থী ও তাঁর কাউন্টিং এজেন্টদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বাপি ইসলাম নিজের মুখে এই কথা জানিয়েছেন আমাদের সাংবাদিককে। জানা গিয়েছে সিপিএম প্রার্থী হাবিব আলির মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বাপি ইসলামের দাবি। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
রুদ্রনারায়ন রায়